মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তঃধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে অনুরোধ জানালে রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। এসময় ট্রাস্টি ও কক্সবাজারের সন্তান এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু প্রস্তাবিত আন্তঃধর্মীয় মহাসম্মেলনটি কক্সবাজারে করার জন্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে সবিনয়ে অনুরোধ জানান। এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টুর অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা, ভেন্যু, যোগাযোগ, সার্বিক পরিস্থিতি ও মহাসম্মেলন করতে আরো ৩ মাস সময় থাকায় সবকিছু চিন্তা করে প্রস্তাবিত আন্তঃধর্মীয় মহাসম্মেলনটি কক্সবাজারে করার ব্যাপারে প্রস্তাবটি সুবিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টুকে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জানান।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর সাথে বঙ্গভবনে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টুর অনুরোধে এ কথা জানান। সোমবার ১৮ নভেম্বর বিকেলে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজারের রামু উপজেলার সন্তান সুপ্ত ভূষন বড়ুয়া, ট্রাস্টি ও কক্সবাজার শহরের বাহারছরার সন্তান এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা এমপি, দয়াল কুমার বড়ুয়া, ডালিম কুমার বড়ুয়া, দীপক বিকাশ চাকমা, কেমংলা রাখাইন, ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া ও ট্রাস্টের পরিচালক শ্যামল কুমার বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। এতথ্য ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সিবিএন-কে ঢাকা থেকে জানিয়েছেন।

এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যান তহবিল সাড়ে ৭ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি উন্নীত করা হবে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে অনুরোধ করবেন বলেও তাদের জানান। যাতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের যাবতীয় কর্মকান্ড স্বাচ্ছন্দ্যে ও পরিপূর্ণভাবে করা যায়।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাতকালে নেপালে বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি মন্দির নির্মানের জন্য নেপাল সরকারের প্রদত্ত ২ বিঘা জমিতে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির সহায়তা চাওয়া হয়। তখন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, আধুনিক স্থাপত্যে শৈলীতে নান্দনিক ডিজাইনে নেপালে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নেপাল সরকারের প্রদত্ত ২ বিঘা জমিতে বৌদ্ধ মন্দিরটি নির্মাণ করা হবে। এজন্য ইতিমধ্যে নেপাল সরকারকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ পর্যায়ক্রমে প্রেরণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দকে বলেন, তিনি নেপাল সফরকালে মন্দিরটি সুদৃশ্য ও আকর্ষনীয়ভাবে নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেপালের রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। নেতৃবৃন্দ এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে নেপালের প্রস্তাবিত মন্দিরটির নকশা ও ডিজাইন হস্তান্তর করেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাতকালে ট্রাস্টের ধর্মীয়, শিক্ষা, জনকল্যাণমূখী কার্যক্রম সহ সার্বিক কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং ট্রাস্টের কর্মকান্ডের বিবরণ দেখে খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতের পর ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে ফটোসেশনে মিলিত হন।

ঢাকা থেকে ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সিবিএন-কে জানান, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ধৈর্যের সাথে মনোরম পরিবেশে তাদের সকল কথাবার্তা শুনেন।