ডেস্ক নিউজ:
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলার মূল হোতাদের অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ বেলপুকুর এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকোড় এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন সৌরভ (২৪), পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের রইচ শেখের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে শান্ত (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শামিমুল ইসলামের ছেলে সালমান টনি (২২), রাজশাহী নরগরীর ভদ্রা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রায়হানুল ইসলাম ওরফে হাসিব (২১) এবং রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন (১৯)।

এরা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে সৌরভ মামলার এক নম্বর আসামি। এছাড়া মুরাদ দুই, শান্ত তিন, টনি ছয় এবং হাসিব সাত নম্বর আসামি। এদের মধ্যে সৌরভ পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার ঘটনায় তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, গ্রেফতার পাঁচজনই অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা অভিযুক্ত সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষকে তার কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।

এ নিয়ে ওই দিন রাতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ। এরপর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার পর থেকে মূলহোতারা ছিলেন আত্মগোপনে। সর্বশেষ সোমবার দিবাগত রাতে প্রধান আসামিসহ ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।