সোয়েব সাঈদ, রামু:
কক্সবাজারের ৪ উপজেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধানকালে রামুতে প্রাচীন মসজিদের শিলালিপি এবং হাতির ফসিল সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপের ৩য় দিন সোমবার (১৮ নভেম্বর) এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সহ জরিপ দলটি রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি চৌধুরী পাড়া গ্রামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত পাক্কা মসজিদ বা আস্কর কাটা মসজিদ দেখতে যান। এসময় ওই এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও ইমাম আবু মুছার কাছ থেকে মসজিদের দেয়ালে সংরক্ষিত ১২৮৮ হিজরীর একটি শিলালিপি এবং মসজিদ তৈরীতে ব্যবহৃত ইট সংগ্রহ করেন।
তিনি আরো জানান, একইদিন প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান দল রামুর সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বণিকপাড়া এলাকার কৃষ্ণ মহাজনের বাড়ির পার্শ্ববর্তী বলরামের ধরের বসত ভিটায় যান। সেখানে বলরাম ধরের স্ত্রী পাতলী বালা ধরের কাছ থেকে একটি হাতির পায়ের অংশের হাড়ের ফসিল সংগ্রহ করেন। সংগৃহিত এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
আগেরদিন রবিবার (১৭ নভেম্বর) জরিপ দল রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর গ্রামে ঐতিহাসিক লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি ১০০ ফুট সিংহশয্যা বুদ্ধ মূর্তি সম্বলিত বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনায় পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত জাদি সহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও নিদর্শন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান ছাড়াও কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি চিত্রশিল্পী তানভীর সরওয়ার রানা, প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান টিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিল্ড অফিসার মো.শাহীন আলম, সদস্যদের মধ্যে সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান, গবেষণা সহকারি মো. ওমর ফারুক, সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মারমা, পটারী রের্কডার ওমর ফারুক ও লক্ষণ দাস উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলার সদর, রামু, উখিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাসব্যাপী প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১৬ নভেম্বর রামু উপজেলার কাউয়ারখোপে ঐতিহাসিক কাঁনা রাজার সুড়ঙ্গ বা আঁধার মানিক গুহা চত্বরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ন সচিব মো. জাকির হোসেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।