প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
“কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ও বাঙ্গালি জাতিসত্বার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র্য বিশ্বেরই সাহিত্য পরিমন্ডলে দৌতি ছড়িয়েছেন। তিনি মহাকালের কবি। তাঁর কাব্যিক দ্যুতিতে আলোকিত হয়েছে বাংলাদেশ। তাঁকে সম্মানিত করার মাধ্যমে কক্সবাজার ফোরাম নিজেই সম্মানিত হয়েছে।
মুহম্মদ নুরুল হুদা দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা ‘সার্ক লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হওয়ায় কক্সবাজার ফোরাম, ঢাকার পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এভাবেই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন দেশের বিশিষ্ট জনেরা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, সংসদ সদস্য কানিছ ফাতেমা আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, সাবেক সচিব এম নাছির উদ্দিন, সাবেক সচিব মিসেস মাফরুহা সুলতানা, সাবেক সচিব ও কথা সাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য কবি আসাদ মান্নান, পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ আনসারুল করিম, কক্সবাজার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক শফিউল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ যুবাইর আহছানুল হোক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ সৈয়দা আইরিন জামান, কবি মজিদ আহমেদ, কক্সবাজার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সচিব এ কে মোহাম্মদ হোছেন, রামু সমিতির সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, কক্সবাজার ফোরামের সদস্য সচিব সুজন শর্মা, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের প্রমুখ।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার ফোরামের আহবায়ক ব্যারিস্টার মিজান সাইদ।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক হারুনুর রশিদ তাঁর বক্তব্যে মুহম্মদ নুরুল হুদার বেশ কিছু কবিতা আবৃত্তি করে বিশ্লেষণ করেন। তিনি দরিয়ানগরের কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা কক্সবাজারে তাঁর স্বপ্নের “কবিতা বিশ্ববিদ্যালয়’ কক্সবাজারে স্থাপিত হওয়া সম্ভব বলে মতামত দেন। তাঁর ভাষায় মুহাম্মদ নুরুল হুদা সাহিত্যের সব বিভাগেই মেধা, মননের ছাপ রেখেছেন।
চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক তাঁর বক্তব্যে মুহাম্মদ নুরুল হুদাকে চট্টগ্রামের অগ্রগামী কালজয়ী সাহিত্যিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি চট্টগ্রাম সমিতির লাইব্রেরীতে নুরুল হুদার সমস্ত বই রাখার ঘোষণা দেন।
সংসদ সদস্য কানিছ ফাতেমা আহমেদ বলেন, মুহাম্মদ নুরুল হুদা ‘সার্ক লিটারেচার এওয়ার্ড’ অর্জন করাই পুরো কক্সবাজারবাসী গর্বিত। তিনি বলেন, মুহাম্মদ নুরুল হুদা বাংলাদেশেরই অমুল্য সম্পদ ।
সাবেক সচিব এম নাছির উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে নুরুল হুদার গৌরবময় ছাত্রজীবন তুলে ধরেন ও তাঁকে মাটি থেকে উঠে আসা প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে উল্লেখ করেন যিনি শেখড়কে আঁখরে ধরেছেন।
সাবেক সচিব মিসেস মাফরুহা সুলতানা ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ আনসারুল করিম তাদের বক্তব্যে মুহাম্মদ নুরুল হুদার অর্জিত কৃতিত্বে কক্সবাজারের গৌরবুজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অধ্যাপক যুবাইর আহছানুল হক নুরুল হুদা’র যে কোন কবিতাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান।
মুহাম্মদ নুরুল হুদার সাহিত্যকে নিবীড়ভাবে বিশ্লেষণ করেন কথা সাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইরিন জামান, কবি আসাদ মান্নান প্রমুখ।
মুহাম্মদ নুরুল হুদার কবিতা আবৃত্তি করেন কুমার লাভলু ও নাহিদ আশরাফী।
সমাপনী বক্তব্যে ব্যারিস্টার মিজান সাইদ বলেন, কবি নুরুল হুদা কক্সবাজারের অহংকার। তাঁকে সংবর্ধিত করতে পেরে কক্সবাজার ফোরাম গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছে। তিনি কক্সবাজার ফোরামের পক্ষ থেকে কক্সবাজারে কবি নুরুল হুদার স্বপ্নের কবিতা বিশ্ববিদ্যালয় করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে কক্সবাজার ফোরামের সদস্য সচিব সুজন শর্মা কবি নুরুল হুদার সংক্ষিপ্ত জীবনী তূলে ধরেন।
সংবর্ধনা অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম। উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ফোরামের পক্ষ থেকে আজিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াস, সাজেদুল আলম মুরাদ, হুমায়ুন কবির আহসান সার্বিক সমন্বয় করেন। এতে ঢাকাস্থ কক্সবাজারের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।