সংবাদদাতা:
রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি পানেরছড়ায় অসহায় শিক্ষক পরিবারের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালিয়েছে সাবেক মেম্বার ফরিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। ১৪ নভেম্বর ভোরে ঘুমন্ত পরিবারের উপর স্বশস্ত্র হামলায় দায়ের এলোপাতাড়ি কুপে এবং কিরিচের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় কলিম উল্লাহর বড় ভাই শফিউল্লাহ, আমান উল্লাহ, ছলিম উল্লাহ, তাদের মা ষাটোর্ধ ফাতেমা বেগম ও বাবা বয়োবৃদ্ধ ছৈয়দ হোসেন। আহতদের মধ্যে শফি উল্লাহর মাথা দায়ের কোপে চৌচির হওয়ায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চ্ট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অন্য ৩ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রামু থানায় জমি বিরোধের বিচার দেওয়ায় ক্ষুদ্ব হয়ে উক্ত ফরিদ মেম্বার পরিকল্পিতভাবে ভিটে থেকে শিক্ষক কলিম উল্লাহর পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি আহতদের। এ ঘটনায় রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কলিম উল্লাহর পরিবার। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোঃ আবুল খায়ের ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জানা যায়, রামুর দক্ষিন মিঠাছড়ির পানের ছড়ার ছৈয়দ হোসেন দীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ নিজস্ব জমিতে বাড়ি নিমার্ন করে বসবাস করে আসছে। উক্ত জায়গার উপর লোভ পড়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ফরিদের। ছৈয়দ হোসেনের অর্থনৈতিক দূর্বলতার সুযোগে বেশ কয়েকবছর যাবৎ তাদের ভিটে দখল করে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালায় উক্ত মেম্বার। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার দখল করার পায়তারা চালিয়ে ব্যর্থ হয় উক্ত পরিবারের উপর হামলা চালায় যা রামু থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে গত ১৪ নভেম্বর ভোরে ছৈয়দ হোসেনের পরিবারের উপর বর্বরতা চালায় ফরিদ মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। ছৈয়দ হোসেনের পুত্র শিক্ষক কলিম উল্লাহ জানান, ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে অর্তকিত হামলা চালায় ফরিদ মেম্বার, মেম্বারের ৪ পুত্র আবদুল হামিদ, আবদুল হালিম, আবদুল হাকিম, আবদুর রশিদ এবং আবদুল মুবিন ও তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী সিরাজুল হক। সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাংচুর করে, লোহার রড়, দা, কিরিচ দিয়ে এলাপাতাড়ি আক্রমনে মাথা চৌচির হয় শফি উল্লাহর, হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। অপর ভাইু আমান উল্লাহর হাঁটু ফেটে যায় লাঠির আঘাতে। মারাত্বক আহত হয় পরিবারের অন্যান্যরা। সকলে সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে। তবে শফি উল্লাহর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করেছে চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আহতদের ভাই কলিম উল্লাহ রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
পানেরছড়ায় শিক্ষক পরিবারের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।