ঈদগাহ সংবাদদাতা :

আসন্ন ২৮ নভেম্বর বহুল প্রতিক্ষিত জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান যুবনেতা, তরুণ সংবাদকর্মী শাহিদ মোস্তফা শাহিদ।ইতিমধ্যেই তিনি আগামী সম্মেলনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।তার এই ঘোষণার পরপরই দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী, সহপাঠীদের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। আবার অনেকেই মনে করেন স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আওতাধীন জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বহুল প্রতিক্ষিত সম্মেলন কাউন্সিল। এ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক জন প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। এ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না দিলেও ভিতরে ভিতরে কাউন্সিল, ডেলিগেট,শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে দোয়া কামনা করে আসছে। তাছাড়া বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাদের প্রার্থীতা জানিয়ে দিচ্ছে। অন্যন্যা প্রার্থীরাও সমান তালে যোগাযোগ, গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে তৃনমূল পর্যায়ে কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, অতীতে আমরা অনেক নেতা বানিয়েছি, কিন্তু বিপদের সময় কাউকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। তাছাড়া দলীয় কর্মসূচীও পালন করেছে ঢালাও ভাবে। জামাত বিএনপির ডাকা কর্মসূচীর বিপরীতে রাজপথে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা পালন করেনি,আমরা এবার তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব চাই। সে হিসেবে সাবেক ছাত্র শাহিদ মোস্তফা শাহিদ অনেকটা ঝুঁকি নিতে দেখেছি। জামাত বিএনপি’র ডাকা জ্বালাও পোড়াও হরতাল ভাংচুরের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভাবে রাজপথে মোকাবেলা ও ভুমিকা করেন তিনি। তার মত তরুণ বয়সের নেতৃত্ব উঠে আসলে সংগঠন অনেক মজবুত ও শক্ত অবস্থানে থাকবে। সঠিকভাবে পরিচালিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জালালাবাদ ইউনিয়ন শাখার কার্যক্রম। শাহিদ মোস্তফা শাহিদ সভাপতি নির্বাচিত হলে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধে থাকবে নেতাকর্মীরা, থাকবে না কোন ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ।

জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী শাহিদ মোস্তফা শাহিদ ১/১১ এর সময় তৎকালীন ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ করিম সিকদারের নেতৃত্বে রাজপথে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে জামাত বিএনপির রোষানলে পড়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিল। তারপরও জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুর শ্লোগানের রাজনীতি থেকে পিছপা হয়নি। সে থেকে অধ্যবদী আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যতসব নির্বাচন হয়ে আসছে সকল নির্বাচনে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে ভাল ফলাফল বয়ে আনছে।দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এবারের সভাপতি প্রার্থী হয়েছে বলে জানান এ প্রতিবেদককে।

সভাপতি প্রার্থী শাহিদ মোস্তফা শাহিদ ২০০৭ সালের ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মী হয়ে রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠে।পরে ২০০৯ সালে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহবায়ক, পরে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে ইউনিয়নে রাজনীতিতে পর্দাপন করেন। ২০১২ সাল থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন ছাত্র লীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন শাহিদ মোস্তফা। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কাজে লাগিয়ে ২০১৪ সালের শেষের দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনোনীত হয়। সে থেকে অধ্যবদী কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক, অরাজনৈতিক, ক্রীড়া, গনমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন প্রেসক্লাবেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ঈদগাহ সাংগঠনিক উপজেলা প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তরুণ সংবাদকর্মীদের সংগঠন ঈদগাহ রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সততার সাথে। এ ছাড়াও তিনি কমিউনিটি পুলিশিং জালালাবাদ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী শাহিদ মোস্তফা শাহিদ জানান, দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ জয়ী হয় বা না হয় আজীবন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন ছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আওয়ামীলীগ প্রধান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের সোনার বাংলাকে যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই যাত্রার একজন কর্মী হিসেবে পাশে থাকব। প্রধানমন্ত্রীর যে শুদ্ধি অভিযান চলছে সেই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কোন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক কারবারিদের স্থান সংগঠনে থাকবে না। তাছাড়া কোন বসন্তের কোকিল, হাইব্রিড, জামাত বিএনপি থেকে আগত যে সমস্ত লোক আওয়ামীলীগের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে এই সব লোকদের আওয়ামীলীগ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ পূরণ বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি আগামী সম্মেলন কাউন্সিলের জন্য সকলের কাছে দোয়া, সমর্থন, পরামর্শ কামনা করেন।