আলাউদ্দিন, লোহাগাড়া :

লোহাগাড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হলনা কথিত সাংবাদিক লম্পট সাইফুল ইসলামের।

১৩ নভেম্বর ( বুধবার) গভীর রাতে খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ ঐ জুটিকে আটক করে।

জানা যায়, কথিত সাংবাদিক সাইফুল নিজেকে ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’ এর স্থানীয় প্রতিনিধি ও লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতো।

লোহাগাড়া থানার এস আই আবদুল হক জানান, ১৩ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ উক্ত প্রেমিক জুটিকে আটক করে।

খবর পেয়ে ১৪ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) সকালে লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম খাগড়াছড়ি যায়। এসময় খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ তাদের আমাদেরকে হস্তান্তর করলে আমার লোহাগাড়া থানায় নিয়ে আসি বলে আরও যোগ করেন উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগের দিন প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই নাজিম উদ্দিন লোহাগাড়ায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করলে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করে দেয়।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হতে থাকে। পরে খাগড়াছড়িতে তাদের অবস্থানের বিষয়টি লোহাগাড়া থানা পুলিশ নিশ্চিত হয়।

জানা যায়, লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত ফুরুক আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫ ) উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারীখিল এলকার এক প্রবাসীর স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফান্দে ফেলে ১০ ( রবিবার) নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।

লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মো: জহির উদ্দিন সিটিজি বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অপরহরণ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করায় প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই নাজিম উদ্দিনের অভিযোগের ভিক্তিতে আসামী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামালা রুজু করা হয়। তাকে আজ ১৫ নভেম্বর ( শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইফুল সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় এরকম বিভিন্ন প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং এক পর্যায়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে। তার গ্রেফতারের কথা শুনে অনেক প্রবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।

একাধিক নারীর সাথে স্বামীর সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করে কথিত সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা বেগম আরজু বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একাদিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে আসছে। বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। আমার ৩ ছেলে ও সংসারের দিকে তাকিয়ে নীরব থাকি এবং নির্যাতন সহ্য করি ।