বিডিনিউজ:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দমকা হাওয়ায় গাছ চাপা পড়ে দুই জেলায় তিনজন নিহত হয়েছেন; বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের।

রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।

এর বাইরে সাতক্ষীরায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। তবে এর সঙ্গে ঝড়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, দমকা হওয়ায় গাছ উপড়ে বসত ঘরের উপর পড়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় হামেদ ফকির নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন।

শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন জানান।

নিহত হামেদ ফকিরের বয়স ৬৫ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মৎস্যজীবী।

খুলনার দীঘলিয়া এবং দাকোপ উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে দুইজনের নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নিহতরা হলেন- দীঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটির আলমগীর হোসেন (৩২) এবং দাকোপের প্রমীলা মণ্ডল (৫২)।

সকাল ১০ টার দিকে দুই উপজেলায় গাছ ভেঙে পড়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ আমাদের যশোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

বরগুনা প্রতিনিধি জানান, শনিবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে হালিমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিচুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন ৭০ বছর বয়সী হালিমা খাতুন।”

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে আবুল কালাম নামে ৪০ বছর বয়সী এক মাছ চাষী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “তার মৃত্যুর সাথে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে চার জেলায় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।