মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা জজশীপ, ম্যাজিস্ট্রেসী এবং ট্রাইব্যুনালের ৯ জন বিচারকের বিচারকার্যে শিশু আইন ২০১৩ ও বাংলাদেশে শিশুদের বিচার বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ শহরের হোটেল লং বীচে শনিবার ৯ নভেম্বর শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর থেকে শনিবার ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী এ আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ চলে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চলেছে। কক্সবাজার বিচার বিভাগের ৯ বিচারক ছাড়াও এ প্রশিক্ষণে আরো ৫ জন সমাজসেবা কর্মকর্তা অংশ নেন।

আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে “স্ট্রেন্দেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের সহায়তায় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহনকারী বিজ্ঞ বিচারকেরা হলেন- কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ, কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) জেবুন্নাহার আয়শা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) নুর ইসলাম, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভা.) রাজিব কুমার বিশ্বাস, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন শামীম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী জজ আলাওল আকবর ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মৈত্রী ভট্টাচার্য। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক (জেলা জজ) মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী।

কক্সবাজার বিচার বিভাগ হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলা জজশীপ, কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী ও ট্রাইব্যুনাল গুলোতে মোট ২৩ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার বিচারক নিয়োজিত রয়েছেন। তারমধ্য, এ ৯ জন ছাড়াও আরো ৩ জন বিচারক দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তাঁরা হলেন-কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ। তিনি একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে অস্ট্রেলিয়া গেছেন। মহেশখালী উপজেলা চৌকি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, তিনি ৪ মাস মেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে রয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা চৌকি আদালতের সহকারী জজ মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ৬ মাসের শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন অনেক আগে থেকেই। এ ৩ জন সহ মোট ১২ জন বিচারক প্রশিক্ষণে ছিলেন। যে ১১ জন বিচারক প্রশিক্ষণে যাননি তাঁরা হলেন-কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু তাহের, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ-২ মাহমুদুল হাসান, চকরিয়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা, সিনিয়র সহকারী জজ (উখিয়া) খাইরুন্নেছা, কুতুবদিয়া চৌকি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল হক, সহকারী জজ (টেকনাফ) জিয়াউল হক, সহকারী জজ (মহেশখালী) সাজ্জাতুন্নেছা, সহকারী জজ (রামু) মোহাম্মদ বেলাল ও সহকারী জজ (কুতুবদিয়া) ফাহমিদা জামান। অবশ্য ৩ দিন ব্যাপী ৯ জন বিচারকের নেয়া শিশু আইন-২০১৩ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার যথাক্রমে ৭, ৮ ও ৯ নভেম্বর হওয়ায় সেখানে মাত্র ১ দিন কার্যদিবস পড়ে। তাই আদালতের স্বাভাবিক বিচারকার্যে তার কোন প্রভাব পড়েনি।