ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
সমুদ্রে ৩ নং সতর্ক সংকেত থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার স্বাক্ষরিত নোটিশে এ নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এদিকে, আবহাওয়াজনিত কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে অনেক পর্যটক আটকে আছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব খান মুঠোফোনে সিবিএনকে জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে টেকনাফ ফিরেনি। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আটকে গেছে।

তবে, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলেও জানান ইউপি সদস্য হাবিব খান।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের আবাসিক কটেজ সী প্রবালের মালিক আব্দুল মালেক জানান, ৮-১১ নভেম্বর এই ৪ দিন তার কটেজ বুকিং ছিলো। ইতোমধ্যে অনেক পর্যটক সেন্টমার্টিন গিয়ে পৌঁছেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচলকারী দ্যা আটলান্টিক ক্রুজের কক্সবাজার অফিস ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, সমুদ্রে ৩ নং সতর্ক সংকেত থাকায় শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলবেনা।
এ সংক্রান্ত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে যথারীতি জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারনে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও টলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন পুলিশ জানায়, আটকে পড়া পর্যটকরা দ্বীপের ১০৬ টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করবে। তাদেরকে প্রশাসনিক ভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা গন্তব্যে ফিরতে পারবেন।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে বর্তমানে কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, দ্যা আটলান্টিক, এমভি ফারহান চলছে। অনুমতি পেলও বাকি দুটি জাহাজ এখনো ঘাটে ভিড়েনি।