বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের অসন্তোষ

মোহাম্মদ উল্লাহ-চকরিয়া:

চকরিয়া পৌরসভার বিশ্বব্যাংক ও এমজিএসপি প্রকল্পের ১৫০ কোটি টাকার ব্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরির্দশন এসে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিদর্শনকালে। তিনি আরো বলেন, বিশ^ব্যাংকের টাকা দেওয়া হয় উন্নয়ন জন্য কাউকে লুটপাট করার জন্য নয়। এই ভাবে চলতে থাকলে বিশ্বব্যাংক ও এমজিএসপির সব প্রকল্প কাজ স্থগিত করা হবে সম্মলেন কক্ষে আলোচনার সময় বলেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে অনিয়মের মধ্যে সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বর্ষায় রোপন না করে শীত মৌসুমে রোপন এবং গাছের সাইজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অনিয়মে ভরা নির্মিত ড্রেইনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুটি সরানোর জন্য প্রায় লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলে ও এসব খুটি সরানো হয়নি। বরাদ্দের এসব টাকা হরিলুট করা হয়েছে বলে স্থানীয় কয়েকজন কাউন্সিলর জানান। কাজের কোন ঠিকাদার খুজে পাওয়া যায়না। মেয়র আলমগীর চৌধুরী অন্য একজনের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজে অনিয়মের মাধ্যমে এসব উন্নয়নের কাজ করছেন। কাজে কান অনিয়ম হলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কারন এসব কাজের মেয়র নিজেই ঠিকাদার ।

এদিকে কাজের ক্ষেত্রে এভাবে অনিয়ম হলে পৌরসভার উন্নয়নের কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া টাকা বন্ধ করা হবে বলেও জানা যায়। তারা আরো বলেন,এক বছরের প্রকল্প তিন বছরেও শেষ হয়নি এভাবে চলতে থাকলে সত্য টেন্ডার হওয়া ৩১টি প্রকল্প ৭৬ কোটি টাকার বরাদ্ধ স্থগিত করা হবে জানিয়ে দেন।

গতকাল সোমবার ৪ (নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের ট্রাস্ট টিম লিডার কোবেনা।

বিশ্বব্যাংকের ট্রাস্ট টিম লিডার কোবেনা আরো বলেন, গত বছরের উন্নয়নের জন্য দেওয়া টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। যে কাজ গুলি করেছেন সেখানে প্রচুর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক ও এমজিএসপি প্রকল্পের প্রতিনিধি দলের সাথে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয় পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী কথা বলেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ট্রাস্ট টিম লিডার কোবেনার, এমজিএসপি প্রকল্পের ডিপিডি মনজুর আলী, বিশ্বব্যাংকের ইঞ্জিনিয়ার শিয়াব, সামিরা, আখতারুজ্জামান, এমজিএসপি ইঞ্জিনিয়ার আশফাকুল জলিল, সচিব মাসউদ মোরশেদ, প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, কাউন্সিলর মছুদুল হক মধু, কাউন্সিলর ফোরকানুল ইসলাম (তিতু), মো.রেজাউল করিম, কাউন্সিলর মুজিবুল হক, কাউন্সিলর জাফর আলম, কাউন্সিলর জিয়াবুল হক, কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সোলতানা খুকুমনি, আঞ্জুমান আরা, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুল হক, মৃণাল কান্তি ধর, এমজিএসপি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রাহমান।

বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধি দল কাজের অনিয়ম বিষয়ে অসন্তোষ করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, অনিয়ম করলে টিকাদারী প্রতিষ্টান করেছ। এবিষয় দেখভাল করার জন্য পৌরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার আছে সেই সব কিছু বলতে পারবে।

চকরিয়া সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়্যারম্যন জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, চকরিয়া পৌরসভার উন্নয়ন হয়েছে । কিন্তুু প্রায় কাজে অনিয়ম ও টেকসই না হওয়ার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগে সব কিছু যেন আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে।

অপরদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কমিশনার বলেন, বর্তমান সরকার মেঘা প্রকল্প হাতে চকরিয়া পৌরসভার জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছে তা সঠিক কাজের মান দিয়ে উন্নয়ন করলে টেকসই উন্নয়ন করার যেত। কিন্তু এসব টাকা দিয়ে উন্নয়ন না করে পৌরসচিবসহ কিছ অসাধু কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও এমজিএসপির প্রতিনিধি দল পরিদর্শন শেষে সম্মেলন কক্ষে এসে বেঠকে এসব বলেন।