বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম এসএমপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে শিক্ষিকাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। দুর্বৃত্তদের কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষিকা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
দখলবাজচক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে কক্সবাজার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম। তিনি রামুর রশিদনগরের সিকদারপাড়ার মোস্তাক আহমদ নুরীর স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেগম ১৯৯৬ সালে ঝিলংজা (বর্ধিত পৌরসভা) মৌজার বিএস ৪৭৮ নং খতিয়ানের বিএস ৬৩০৭ নং দাগেরসহ বিভিন্ন দাগের ০.১৬ একর ক্রয় করে ভাড়া বাসা এবং নিজে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। সুরক্ষার জন্য চারপাশে বাউন্ডারি দিয়ে বসবাস করে আসার পর বাউন্ডারিটি পুরাতন হলে গত ২৪ অক্টোবর সকালে ৯টার দিকে মেরামতের চেষ্টা চালায়। এ সময় একই এলাকার পার্শ্ববর্তী গোলাম মোস্তফা প্রকাশ ছাবেরের পুত্র মোঃ সোহেল প্রকাশ মিন্টু বাঁধা প্রদান করে। হঠাৎ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিকে অস্বীকৃতি জানালে লোকজন নিয়ে বাড়ির দেয়াল ভাঙচুর করে। ভেঙ্গে ফেলা হয় বাড়ির টয়লেট। লোকজন এগিয়ে গেলে দখলবাজরা পারিয়ে যায়। বর্তমানে চাঁদার জন্য ফাতেমা বেগমকে নানা হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ফাতেমা বেগম জানান, তাদের অব্যাহত হুমকিতে পুরো পরিবার এবং ভাড়াটিয়ারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । বাড়ির পেছনের দেয়াল এবং টয়লেটটি পুরো ভাংচুর করার কারনে ভাড়াটিয়ারা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
এদিকে সন্ত্রাসীরা যে কোন মুহুর্তে বাড়ি ও জায়গা দখল করার আশংকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে পুরো জায়গায় অনধিকার প্রবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেছেন বাদী। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন নিরাপত্তাহীনতায় থাকা শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমের পরিবার। পাশাপাশি শান্তিভঙ্গের আশংকায় থাকা উক্ত পরিবার পুলিশি সহায়তা কামনা করেন।