জিয়াবুল হক, টেকনাফ:
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় তিন দরিদ্র পরিবারের বসত-বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ৩টি বসত-বাড়িতে থাকা যাবতীয় জিনিস পত্র পুড়ে গেছে।
সুত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালীতে এই ঘটনা ঘটে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার মৃত আব্দু সালামের পুত্র হেলাল উদ্দিন, হত দরিদ্র মনোয়ারা বেগম স্বাসী জলিল আহম্মদ, দরিদ্র আনোয়ারা বেগম স্বামী মো  সেলিম। এদের ৩ টি বসত-বাড়িতে একই এলাকার প্রভাবশীল মৃত কাদের হোছনের ছেলে আব্দুল মালেক, আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তাক, আব্দুল মালেক এর পুত্র শাহাব উদ্দিন, আব্দুল মালেক এর পুত্র কায়ছার, মৃত মকবুল আহম্মদের পুত্র দুলা মিয়া, আব্দুল মালেক এর স্ত্রী সমসু নাহারগনদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিরোধ চলে আসছিল।
সেই সুত্র ধরে গত ১ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে ৩টি বসত-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে এই তিন পরিবারের সদস্য সুত্রে জানা গেছে। বিগত ২০১৬ সালেও এই হত দরিদ্র পরিবার গুলোকে বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে হয়রানীসহ হুমকি, দুমকি এবং মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এই হত দরিদ্র ৩ টি বসত-বাড়ি পুড়ে যাওয়াতে তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম দুর্দিন। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদও হয় উল্টো। যা মুল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বাচাঁনোর জন্য একটি পক্ষ নিরহ ও হত দরিদ্র পরিবার গুলোকে ফাঁসাতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ঘর পুড়ে যাওয়া মহিলা মনোয়ারা জানান,‘ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় একটি ছোট ঘর করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। বিগত সময়েও আমার বাড়ির আশে-পাশে কিছু ইয়াবা বব্যবসায়ী আমার ও আমার স্বামীর উপর নির্যাতন করে আসছে। প্রতিনিয়ত জমি ও বসত-বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যেতে বলে আসছে। সেই সুত্র ধরে গত ১ নভেম্বর আমার বাড়িসহ মোট তিনটি বাড়িতে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। এবিচার আমি টেকনাফ মডেল থানার ওসি স্যারের কাছে চাই
বাড়ির মালিক মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন জানান, আগুনে তার পরিবারের ৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বাড়িতে থাকা জমি ক্রয় করার জন্য রাখা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, নতুন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌলভী নুর আহম্মদ আনোয়ারী বলেন, ঝিমংখালীতে বসত-বাড়িতে আগুন লেগেছে খবর পেয়ে গত ২ নভেম্বর ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমার বলেন, ‘কি কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ অবগত নই। এব্যাপারে লেখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও নিশ্চিত নয়।