শাহী কামরান:

ধুলায় ধূসর লিংকরোড স্টেশন। দেখতে লিংকরোড স্টেশনটি যেন এক খন্ড মরুভূমি। শুধু লিংকরোড স্টেশন নয়, বাস টার্মিনাল হতে বাকঁখালী ব্রীজ পর্যন্ত শুধু ধুলা বালিময় সড়ক। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সকলের এ্যাজমা রোগের মহামারী হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদি ভিনদেশী কোন অতিথি এই সড়ক দিয়ে প্রথম যাতায়াত করেন তিনি অবশ্যই মনে করবেন আশেপাশে মরুভূমি রয়েছে। এটা বিশ্বাসযোগ্যও বটে।
চিকিৎসকদের মতে, ধুলাদূষনের কারনে শিশু ও বয়ষ্কদের শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ঢিবি, এলার্জি, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে। এটি দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নিলে ছোট বড় সবার উপরে উল্লেখিত রোগ ব্যাধির মহামারী হতে পারে।
কক্সবাজার শহরে প্রবেশের একমাত্র নির্ভরযোগ্য এই মহাসড়কের চিত্র সাধারণ জনগনকে ভাবাই। অসতর্কতার কারনে এ্যাজমা রোগের মহামারীতে পড়তে পারেন জেলাবাসী। সবথেকে চিন্তিত স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কেননা শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড আবার সেই শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষা জীবনে এ্যাজমা সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কি হবে? জনগনের ভবিষ্যতে নিশ্চয়তা এখন কে দিবে?
বাসটার্মিনাল হতে বাকঁখালী ব্রীজ পর্যন্ত অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও আবাসিক এলাকা।
কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত। ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি বর্ষা মৌসুমের পর পরেই ধুলাবালিময় হয়ে পড়েছে। সামনে শীতকাল নিয়ে আরো বেশী চিন্তিত সাধারন জনগন। তাদের প্রতিদিন চলাফেরা করতে যেন দুঃখের শেষ নেই।
সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে সড়কের সংস্কার করা হয়েছে ইট এবং বালি দিয়ে। তা কিছুদিন রাস্তায় থাকলেও গাড়ি চলাচলের কারনে তা এখন ধুলায় পরিণত হয়েছে। রেললাইন প্রকল্পেও চলছে বালির কাজ। রেল লাইনের প্রকল্পের সকল কার্যক্রম হচ্ছে বাস টার্মিনাল ও রাবার ড্যাম্প পর্যন্ত। তাই উক্ত সড়ক জুড়ে ধুলাবালি প্রচন্ড। সড়কের বালি ও রেললাইন প্রকল্পের বালি মিশ্রিত হয়ে লিংকরোডসহ পুরো এলাকাটি যেন এক খন্ড মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
যদি সড়কে প্রতিদিন একটু করেও পানি ছিটানো যেত তাহলে ধূলাবালি কিছুটা নিয়ন্ত্রন হতো। তবে, দেখার যেন কেউ নাই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় আমরা ভুগতেছি এটার প্রতিকারের জন্য কাউকে এখনো পর্যন্ত মাঠে দেখিনি।