মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

গত অক্টোবর মাসে কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক মোট ১১ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যা সমসাময়িক কালে শুধু একমাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদক উদ্ধার।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে শনিবার ২ নভেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

এডিএম মোহাঃ শাজাহান আলি আরো বলেন, মামলায় অহেতুক সময় চাওয়ার প্রবণতা মামলা সংপৃক্ত সবাইকে পরিহার করতে হবে। তাহলে মামলার জট কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো দ্রুত ও সঠিক পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যাপারে সকল পক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সময়ের হয়ত অনেক মামলার নথি জেলা প্রশাসনে রয়ে গেছে। সেসব নথি অচিরেই বিচার বিভাগে ফেরত দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে। এলএ মামলার বিভিন্ন বিচারিক জটিলতার কারণে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার হকদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে বিচার বিভাগকে জন হয়রানি এড়ানোর মতো আদেশ দিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান। এডিএম মোহাঃ শাজাহান আলি বিচার বিভাগীয় সম্মেলন শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং বিচারপ্রার্থীদের সেবাদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্মেলনে “কক্সবাজার জজশীপের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলায় বিদ্যমান সমস্যা সমুহ ও উহা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ” শীর্ষক প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন কক্সবাজারের যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ-২ মাহমুদুল হাসান। প্রবন্ধের উপর ও বিদ্যমান সমস্যার উপর চুলচেরা মুক্ত আলেচনা ও প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ এই বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

সম্মেলন আয়োজন কমিটির নির্বাহী সদস্য ও
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন শামীম এর নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর সঞ্চালনায়
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) বেগম জেবুন্নাহার আয়শা, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু তাহের, যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহবায়ক-ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, সিভিল সার্জন মোঃ আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব মোর্শেদ, জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মতিন, আরএমও ডা. শাহীন আবদুর রহমান, কক্সবাজার জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) হুমায়ুন কবির, চকরিয়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ শ্রীমতী মৈত্রী ভট্টাচার্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানা, সিনিয়র সহকারী জজ খাইরুন্নেচ্ছা, ফাহমিদা আক্তার, সহকারী জজ রেজাউল হক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক, বিজিবি’র ৩৪ ব্যাটালিয়নের ডেপুটি ডাইরেক্টর ক্যাপ্টেন মোঃ তাজমিলুর ইসলাম, জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এস. আব্বাস উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, জিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, এডভোকেট একরামুল হুদা, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক, এডভোকেট কামরুল হাসান, এডভোকেট রাখাল চন্দ্র বড়ুয়া, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী, এডভোকেট সুলতানুল আলম, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, দুদকের প্যানেল আইনজীবী এডভোকেট সিরাজ উল্লাহ, এডভোকেট আবদুর রহিম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৌমেন মন্ডল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার এস.এম হাসান, সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মুহাম্মদ শাহজাহান কবির, কোর্ট ইনস্পেকটর মাহবুবুর রহমান, পিবিআই এর ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।