সিবিএন ডেস্ক:
নিষেধাজ্ঞার রাতে বিসিবিতে এসে কিছু কথা বলে গেছেন। কিন্তু সেটি সাকিব আল হাসানের ভক্ত-সমর্থকদের শান্ত করতে পারছে না। হতাশা প্রকাশ, পাশে থাকার প্রত্যয় জানানোর সঙ্গে নানা গুঞ্জনের ডালপালা তারা বিস্তার করে চলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই প্ল্যাটফর্মকেই সাকিব বেছে নিলেন ভক্তদের শান্ত থাকার বার্তা দিতে, আহ্বান জানালেন ধৈর্য ধরতে। বললেন তার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিসিবির প্রতি অহেতুক সমালোচনার বিষয়েও।

শুক্রবার মাঝরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সাকিব লিখেছেন, ‘আমার সকল সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি এটা বলতে চাই, আমার ও আমার পরিবারের খুব কঠিন সময়ে আপনাদের নিঃশর্ত সমর্থন এবং ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। শেষ কয়েকদিনে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি এটা বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার অর্থ কী।’

‘আমি আমার সকল সমর্থককে, যারা আমার উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ, তাদের শান্ত থাকতে ও ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

নিষিদ্ধ হওয়ার কয়েকদিন আগে দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের জোট করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন সাকিব। বিসিবির সঙ্গে তখন থেকেই এ অলরাউন্ডারের একটা মুখোমুখি অবস্থানের আবহ চর্চা করতে থাকে ভক্ত-সমর্থকরা। আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পর সেটির সঙ্গে মিলিয়ে বিসিবিরও দায় খুঁজতে থাকে তারা। বিশেষ করে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির সভাপতিকে নিশানা করে শ্লেষাত্মক বাক্যবাণ ছুঁড়তে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। সাকিব এই ঘটনায় বিসিবির করণীয় কিছু না থাকার বিষয়টিও পরিষ্কার করেছেন।

‘আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ছিল খুবই গোপনীয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার মাত্র কিছুদিন আগে আমার কাছ থেকেই বিষয়টা জানতে পারে। সেই মুহূর্ত থেকে বিসিবি যেভাবে সমর্থন জুগিয়ে গেছে এবং আমার পরিস্থিতি বিবেচনা করেছে, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

‘আমি বুঝতে পারছি, কেনো অনেক মানুষ সহায়তার প্রস্তাব দিচ্ছে এবং আমি এটা খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করছি। যাইহোক, সবখানে একটা প্রক্রিয়া থাকে এবং আমি আমার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছি কারণ, আমি মনে করি সেটাই সঠিক কাজ ছিল।’

‘আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন ক্রিকেট মাঠে ফেরা ও ২০২০ সালে আবারও বাংলাদেশের হয়ে খেলায়। তার আগ পর্যন্ত আমাকে আপনাদের প্রার্থনা ও হৃদয়ে রাখবেন। ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, সবধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, যার একবছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর মাঠে ফেরার সুযোগ আছে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের।