বার্তা পরিবেশকঃ
রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম উমখালী কাজির পাড়া গ্রামে প্রবাসী শাহআলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৬)কে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসী শাহ আলমের পিতা ছৈয়দ আহম্মদ ও তার ভাই মোক্তার আহম্মদ, মোক্তার আহম্মদেরর ছেলে মনসুর,জালাল আহম্মদের ছেলে মো: মনসুর, সরওয়ারের স্ত্রী মর্জিনা ও ছালামতুল্লাহ সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করতে থাকে।
প্রবাসী শাহ আলম বাড়িতে না থাকার সুবাদে ভিকটিম আফরোজাকে শশুর ছৈয়দ আহাম্মদ তার তৃতীয় স্ত্রী রেহেনা বেগমের প্ররোচনায় প্রবাসী ছেলের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসতেছে।
ঘটনার দিন নির্যাতনের শিকার হওয়া আফরোজাকে বাপের বাড়ির লোকজন ও তার ছোটভাই ফয়সাল দেখতে যায়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছৈয়দ আহম্মদ ও একই সন্ত্রাসীরা মিলে আবার আফরোজা ও তার ছোটভাই ফয়সালকে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তাদের তালাবদ্ধ করে রাখে।
আফরোজার ছোট ভাই ফয়সাল জানান, আমি আমার বোনকে নির্যাতনের কথা শুনে শশুরবাডি দেখতে গেলে ছৈয়দ আহম্মদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাকে ও আমার বোনকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে এবং তালাবদ্ধ করে রাখে।
রামু থানা পুলিশ খবর পেয়ে সন্ধা ৬টার সময় ভিকটিম আফরোজাকে উদ্ধার করে রামু থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি সন্ধা ৬টার সময় আহত অবস্হায় আফরোজা বেগম (২৬) ও ফয়সালকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হতে পারে।