হামিদুল হক,ঈদগড়:
কক্সবাজার জেলার ঈদগড়ের বিভিন্ন এলাকায় সমিতির নামে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। এলাকায় মানুষের মধ্যে টাকা লোন দিয়ে উচ্চ সুদে ব্যবসা করছে। বিভিন্ন সমিতির নামে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। এ সমিতির খপ্পরে পড়ে নিরীহ মানুষ হচ্ছে সর্বশান্ত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদগড়ের হাসনাকাটা,বড়বিল,ধুমছাকাটা সহ বিভিন্ন গ্রামে সুদের ব্যবসা লক্ষ করা যাচ্ছে। আরও জানা গেছে, নামে-বেনামে গড়ে উঠা এ সমিতিগুলো চড়া সুদ গ্রহণ করে। পরে কিস্তি হিসেবে সুদ গ্রহণ করার চেয়ে বেশি টাকা দেয়ার সত্ত্বেও টাকা পরিশোধ হয় না। এ নিয়ে এলাকায় গ্রাম্য শালিশী বৈঠক বসার মাধ্যমে সুদ গ্রহণ কারিদের স্ত্রীর স্বর্ণলংকার, গরু-ছাগল, বিক্রি করে সুদ গ্রহণকারিদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। অপরদিকে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত, মারপিট ও মামলার হুমকি দিয়ে থাকে। এমন কি তাদের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়ায়। এতে বেশি শিকার হয় দিন আনে দিন খায় এমন পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ছোট ছোট সমিতির নামে গরিব নিরীহ মানুষকে বেশি দরে সুদ দিয়ে থাকে এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজন। এর খপ্পরে পড়ে কিছু নিরীহ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। হাসনাকাটা এলাকার বাবুল নামের এক দোকানদার জানান, জনৈক এক সুদখোরের কাছ থেকে প্রতি মাসে হাজারে ২০০ টাকা সুদসহ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তাকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা সুদ ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। পরে ৬ মাসে সে ২৬ হাজার টাকা সুদসহ মোট ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাবসায়ী বলেন, একটি সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা সুদ নিয়েছিলাম, কিন্তু এক বছরের মধ্যে ১৫ হাজার ৩’শ টাকা দেয়ার পরে আজও টাকা শোধ হয়নি। ঈদগড়ে প্রায় শতাধিক ছোট বড় সমিতি রয়েছে। সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এ সমিতিগুলোর সদস্য প্রতি দুই দিন অর্থাৎ হাটবারে, আবার মাসিক ভাবে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কিস্তি হিসেবে সমিতিতে জমা করে। ওই জমাকৃত টাকা সাধারন মানুষের মধ্যে চড়া সুদে বিতরণ করা হয়। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ভাবে সমিতির মাধ্যমে সুদের ব্যবসার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ সুদের টাকার মাধ্যমের মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে, এ ধরনের অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।