বার্তা পরিবেশক:
সৈকত ঝিনুক বহুমূখী সমবায় সমিতির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সাথে মোটা অংকের টাকার লেনদেন করে জেলা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নিয়ম ভঙ্গ করে দুই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমিতির নির্বাচনের প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান  মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, আগামী ১১ নভেম্বর সৈকত ঝিনুক বহুমূখী সমবায় সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী গত ১৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়, ১৯ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল, ২০ অক্টোবর বাছাই ও খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ২১ অক্টোবর আপত্তি ও আপীলের দিন ধার্য্য ছিলো। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তারা আবারো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সব কিছু ঠিক থাকায় চূড়ান্ত বাছাইয়ে আনোয়ার উল্লাহ ও হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তাদের বৈধতার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করেন অপর সভাপতি প্রার্থী মোশারফ হোসেন দুলাল, অপর সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক কাসেম আলী।

সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্রকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে অবৈধ ঘোষণা করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আপত্তিকারীরা অভিযোগ আনেন যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ হিসেবে আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সমিতির টাকা আত্মাসাৎ করেছেন। আপত্তি নিয়ে শুনানী করেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা লতিফুর রহমান। শুনানীতে আপত্তি দাখিলকারীরা টাকা আত্মসাতের কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে সক্ষম হয়নি। প্রমাণ দেখাতে না পারায় সমবায় কর্মকর্তাদের যোগসাজস করে আপত্তিকারীরা। তাই শুনানীর ফলাফল ঘোষণা করতে গড়িমসি শুরু করে কর্তকর্তারা। এরই অংশ হিসেবে বিকাল ৩টায় ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও করা হয়নি। গড়িমসি করে রাতে আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র এক তরফাভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয় । ঘোষণার সময় আপত্তিকারীদের কক্ষে থাকতে দিলেও বিবাদী আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। এই অবৈধ বাতিল ঘোষণার আইনী প্রতিকার পেতে আদালতে শরণাপন্ন হবে বলে জানিয়েছেন আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাবিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার উল্লাহ, বর্তমান সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইফনুছ, মহিউদ্দীন, নাজির আহমদ, আবদুল করিম, শিমুল দাশ গুপ্ত, মোঃ নোমান, নূরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সেলিম, মোঃ শরীফ, মোঃ দিদার।