সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহঃ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি, সংগ্রামী ইতিহাস জানাতে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা এবং বিজয় ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) সকালে মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্টিত উৎসবে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মু. ওমর হামজা।
উৎসবে খুটাখালীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমদ বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, বিজয় ফুল আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রতীক।
বিজয় ফুলের ছয়টি পাপড়ি রয়েছে। যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছয় দফাকে স্মরণ করা হয়েছে। বিজয় ফুলের মাঝে একটি কলি রয়েছে যা পাপড়ির সাথে যুক্ত হয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণ করা হয়।
বিজয় ফুলের পাপড়ির দৈর্ঘ্য ৬ সেন্টিমিটার, প্রস্থ আনুপাতিক হারে এবং সবুজ জমিনে সাদা রং।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা আবদুর রহমান, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন, কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা রহমতুচ্ছালাম, শ্রেণি শিক্ষক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমিটির দায়িত্বরতরা।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধিতে সকল স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসায় বিজয় ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা ও বিজয় ফুল উৎসব আয়োজন করে আসছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছরও এই কর্মসূচি পালনে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ফুল শাপলা ফুল তৈরি ও উপস্থাপনের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় ফুল প্রতিযোগিতাটি প্রতি বছর নিয়মিতভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরাসরি তত্বাবধানে বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
গত বছর ২০১৮ সালের ন্যায় এবছরও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা,জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এবারে প্রতিযোগিতার বিষয়, বিজয় ফুল তৈরি, গল্প রচনা, কবিতা রচনা, দেশাত্মবোধক সংগীত জাতীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২৮ অক্টোবর, উপজেলা,মহানগর পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর, জেলা পর্যায়ে ২ নভেম্বর, বিভাগীয় পর্যায়ে ৯ নভেম্বর এর মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ১৩ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।