মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরশহরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সাংবাদিক পরিবারের জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের ওই ভুক্তভোগি পরিবাইট চরম আতঙ্কে রয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি একেএম বেলাল উদ্দিন। তিনি চকরিয়া পৌরসভার জনতা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মরহুম হাজী ফেরদৌস আহমদের ছেলে।

তার অভিযোগ, তাঁর পৈত্রিক ও ৪০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন স্থানীয় রফিকুল ইসলাম গং। এ ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ বলবৎ থাকলেও তা অমান্য করছেন অভিযুক্তরা।

ভূক্তভোগী বেলাল উদ্দিন জানান, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কাকারা মৌজার মূল বি এস ৩৪১ নং খতিয়ানের বি এস ৪৫০,৩০৪,৩০৫,৩৫৯,৩৬০,ও ৩৩৯ নং দাগাদির জমি নিয়ে সৃজিত বি এস ১৯১৯ ও ২৯২৮ এবং তৎ বি এস হইতে সৃজিত বি এস ৩৩৫৪,৪০১৪ নং খতিয়ানের বি এস ৪৫০,৩০৪,৩০৫,৩৫৯,৩৬০,৩৩৯ নং দাগাদির ৬০.৩৩ শতক জমি ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে মালিক। উল্লেখিত জমির মালিক হিসেবে তিনি এবং তার মা-বাবার ওয়ারিশগন ৪০ বছর যাবৎ শান্তিপূূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। গত দেড় মাস পূর্বে উল্লেখিত জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় মৃত আহমদ সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গংয়ের।

বেলাল উদ্দিন অভিযোগ তুলেছেন, জমি জবরদখল চেষ্ঠা ও নানাভাবে হুমকি দেয়ার ঘটনায় সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর তিনি বাদি হয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবাদিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি এমআর মামলা ( নং ১০৪৫/১৯) দায়ের করেন। বাদিপক্ষের আবেদন শুনানী শেষে আদালতের বিচারক বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রির্পোট দেওয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে আদালতের আদেশ মতে চকরিয়া থানার ওসির নির্দেশে গত ১৭ অক্টোবর থানার এসআই প্রিয়লাল ঘোষ আদালতের জারি করা ১৪৪ধারা আদেশ সংক্রান্ত নোটিশ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিবাদিপক্ষকে জোরপূর্বক ভাবে কোন রকম অনধিকার প্রবেশ জবর দখলের চেষ্টা, কোনরূপ স্থাপনা না করার জন্য বারণ করেন। একই সঙ্গে আদালত মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী সম্পত্তিতে শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এদিকে চকরিয়া থানার পুলিশের পক্ষথেকে নোটিশ জারির পর থেকে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু চক্র উল্লেখিত জমি জবরদখলে নেয়ার অপচেষ্ঠার পাশাপাশি সাংবাদিকের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী বেলাল উদ্দিন।

বেলাল উদ্দিনের দাবি, তাঁর পরিবারের জমি জবরদখল ও হুমকির ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক গংকে নানাভাবে সহযোগিতা দিচ্ছেন শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতা। দেশব্যাপী দখলবাজ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করলেও অভিযুক্ত শাসকদলের ওই নেতা টাকার বিনিময়ে দখলবাজ চক্রকে আমাদের জমি-জমা জবরদখলে উস্কে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিবারের জমি রক্ষা ও হুমকির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন।