গত ২৭ অক্টোবর আলোকিত উখিয়া প্রকাশিত ‘কোন আয় নেই: জ্বীনের টাকায় নির্মিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজপ্রসাদ’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যে বাড়িটি নির্মিত হচ্ছে তার জমিসহ কোনো কিছুর মালিক আমি নই। আমার শ্বাশুড়ি ও তার ভাই কায়কোবাদ তাদের পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জায়গা। কিন্তু আমার মামা শ্বশুর অবিবাহিত ও আমার শ্বাশুড়ির একমাত্র সন্তান হিসেবে আমার স্ত্রী নাসিমা আকতারকে তারা জমিটি দান করেছেন। একই সাথে তারা তাদের পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত রেল লাইনের অধিগ্রহণের আওতায় পড়া জমির অধিগ্রহণের উত্তোলিত টাকা, মামা কায়কোবাদের পেনশন ও জমি বিক্রির টাকা দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করছেন। বাড়ি নির্মাণে যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিয়েছেন। মূলত আমার ও আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কিছু প্রতিপক্ষ বাড়িটি নির্মাণে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে এবং ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষ অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে মনগড়া ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। গত বৃহস্পতিবার ওই পত্রিকার সাংবাদিক দাবিদার দুইজন ব্যক্তি আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমার মামা শ্বশুর কায়কোবাদকে জেরার নামে মানসিকভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এতে ভয় পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন।

অন্যদিকে আমি জামাই হিসেবে ওই বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম আমি নিজ হাতে দেখভাল করি। সে কারণেও ওই প্রতিহিংসা পরায়ণ লোকজন আমারও উপর বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই তারা আমার চরিত্রহননের জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে একই সংবাদে আমাকে ওই নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক দাবি করে ঘূণ্য ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এই অভিযোগ অত্যন্ত গর্হিত ও জঘণ্য। কারণ আমি দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে বর্তমানে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করছি। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি- ইয়াবা ব্যবসা তো দূরের কথা: কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সাথেও আমার বিন্দু পরিমাণ কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। তাই এই সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি। আমার প্রতিপক্ষ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এহেন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করায় আমি আলোকিত উখিয়ার পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।

পরিশেষে এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ কাজল
সিকদার পাড়া, বিজিবি ক্যাম্প, কক্সবাজার পৌরসভা।