বার্তা পরিবেশক :

লালন সাঁঈই ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক ছিলেন।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪৫৯তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন।

বক্তাগণ বলেন, লালন সাঁঈই-এর দর্শন ছিলো- ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে// যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান// জাতি গোত্র নাহি রবে॥

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সহ-সভাপতি, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিশিষ্ট ছড়াকার ও কবি মো. নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ২৬ অক্টোবর ২০১৯ কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।

একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় লালন সাঁঈই-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন মুল্যায়ন সম্পাদক, কবি অমিত চৌধুরী, একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট নুরুল আজিজ চৌধুরী, একাডেমীর আজীবন সদস্য লেখক ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, একাডেমীর নির্বাহী সদস্য, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, কবি ও গল্পকার সোহেল ইকবাল, একামেডীর মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী, কবি শামীম আকতার।

বক্তারা বলেন, লালন ফকির ছিলেন জাত প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ। তিনি তার বলিষ্ঠ লিখনি এবং গানের মাধ্যমে সকল ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। দীর্ঘজীবী এই মহান সাধকের মৃত্যুর পরেও উনার জাত সম্পর্কে সবাই অন্ধকারেই ছিলেন। তিনি সকল প্রকার কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমাজের কাংখিত পরিবর্তনের জন্য কাজ করে গেছেন।

আলোচনা শেষে কবিতা পাঠ করেন কবি কানিজ ফাতেমা ও কবি এরশাদুর রহমান।

লালন গীতি পরিবেশন করেন উত্তর নুনিয়া ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাডেমীর সদস্য কবি জোৎস্না ইকবাল।