বলরাম দাশ অনুপম :
কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামে চাল নিয়ে চালবাজির যেন শেষ নেই। পাশাপাশি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এই অফিসের জন্য নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে-খুরুশকুল পাল পাড়ার বাসিন্দা বর্তমানে শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় বসবাস করা শ্রীমন্ত পাল সাগর নামের একজন চাল ব্যবসায়ীর সাথে সদর খাদ্য গুদামের জালিয়াতির গভীর সম্পর্ক। তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যাদের সাথে খাদ্যগুদামের কয়েকজন কর্তাব্যক্তির হাত রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে লিংকরোড সংলগ্ন বিসিকে সাগরের মালিকানাধীন সাগর কোল্ড স্টোরেজে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এদিকে চাল নিয়ে চালবাজির অভিযোগে ২৫ অক্টোবর দুপুরে সদর খাদ্য গুদামে অভিযান চালায় র‌্যাব সদস্যরা। এদিকে একাধিক অভিযান ও জরিমানার পরও যেন থামছে না খাদ্যগুদামের অনিয়ম-দুর্নীতি।২৫ অক্টোবরের অভিযানে ৫০ ও ৩০ কেজি চাউলের বস্তা একসাথে রাখার কারণে এবং অনিয়মের জন্য আটক করা হয় কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ও দারোয়ান রিদুয়ান আলীকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে-অভিযানের খবর টের পেয়ে পালিয়ে যায় খাদ্য গুদামের জালিয়াতি ও অনিয়মের মূলহোতা উপ-খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। পরে সেই অভিযানে যায় সদর ইউএনও এএইচএম মাহফুজুর রহমান। এসময় ওই গুদামটি সীলগালা করে দেয়া হয়। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন-৫০ ও ৩০ কেজি চাউলের বস্তা একসাথে রাখার কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই জনকে আটক করে নিয়ে গেছে র‌্যাব। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেবদাস চাকমা বলেন, বস্তায় অনিয়মের অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে শুনেছি। তবে, কেমন জালিয়াতি করেছে। তা আমি নিশ্চিত নই। এদিকে নাম না করার শর্তে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ আটক ২ জনকে র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান-যদি এদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে যদি অপরাধ প্রমাণিত না হয় তাহলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। উল্লেখ্য-গত ২০ অক্টোবর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মুক্তারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চাল নিয়ে জালিয়াতিকালে হাতেনাতে ২ শ্রমিক আটক ও সিলগালা করা হয় ৫নং গুদামটি।