নিজস্ব প্রতিবেদক :

দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্যের সবচেয়ে বড় সম্মাননা পেলেন কক্সবাজারের সন্তান জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। গত শনিবার ভারতের নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টান্যাশনাল সেন্টারের সি ডি দেশমুখ অডিটোরিয়ামে কবিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা স্মারক হাতে তুলে দিয়েছেন সত্য একাডেমির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর চন্দ্র শেখর কামবারা। এ সম্মাননার নাম সার্ক লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড। সার্ক লিটারেচার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত জাতিসত্বার কবি নূরুল হুদা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই সম্মাননা শুধু আমাকে নয়, বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে। তরুন লেখকদের উদ্যোশ্যে কবি নুরুল হুদা বলেন, পাঠ ও লেখালেখির কলাকৌশল না জানলে স্বাভাবিক স্বভাবজাত প্রতিভা দিয়ে কেউ বেশীদূর এগুতে পারে না। তাই শ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রতিভা এই তিনটার মিলন ঘটাতে পারলে বাংলাদেশের লেখকরা নিজের জন্য এবং জাতীর জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারবে।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ছাড়াও মালদ্বীপের কবি ও গবেষক আশরাফ আলী এবং নেপালের কবি ভীষ্ম উপরেটিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে এর আগে ২০০১ সালে একই সম্মাননা পান কবি শামসুর রাহমান। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বাংলাদেশের দ্বিতীয় কবি যাকে এই সম্মাননা দেয়া হলো। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এই সম্মাননা পান। বাংলাদেশের ইংরেজি সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১১ সালে রুবানা হককে ও ২০১২ সালে ফখরুল আলম এবং সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামকে সার্ক লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।