মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বান্দরবানের লামা উপজেলায় নতুন করে এমপিও ভুক্ত হলো তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বুধবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ঘোষণা করেন। পাশাপাশি পড়ালেখার মান ঠিক না থাকলে এমপিও বাতিল করারও হুঁশিয়ারি দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও ভুক্ত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ এমপিওভুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া বহু শিক্ষক-কর্মচারী ও দেড় সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূরের পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। এদিকে এমপিও ভুক্তির খবরে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।

ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলার এমপিও ভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয়, হায়দারনাশী মোহাম্মদীয় সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হারগাজা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে ৩৭জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। অধ্যয়নরত আছেন ১ হাজার ৬৮জন শিক্ষার্থী। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, আমার ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা ও একটি নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এমপিও ভুক্তি করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে নব এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর শুক্কুর বলেন, এমপিও ভুক্তির মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূরের পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।

তিন প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও ভুক্তি সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পার্বত্য মন্ত্রী মহোদয়কে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞা জানাই।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় এক হাজার ৬২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হযয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলে এমপিওভুক্ত নয়, এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক– কর্মচারীরা। দীর্ঘ ৯ বছর পর তাদের এ দাবি বাস্তবায়ন করলো সরকার।