রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

বিশেষ সংবাদদাতা:
কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়া ছড়া,শহরের কস্তুরাঘাট সরকারী খাস জমিতে, খুরুশকুল ও শহরের আলীর জাঁহাল এসএম পাড়া এলাকায় বাঁকখালী নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন ও চলছে দেদারছে বিক্রি। নদি ড্রেজিংএর নামে উত্তোলিত বালু বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট বিগত ২ বছর ধরে বাঁকখালী নদীর বালি উত্তোলন করে চলেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে হরদম বালু উত্তোলনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরির্দশনে গিয়ে দেখা যায়, ডাইক নং এক. পৌরসভার নুনিয়া ছড়াস্থানে দুই কোটি সিএফটি বালি উত্তোলন করে ইতিমধ্যে রাতের আধারে বিক্রি শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয় কামাল হোসেন। পরিবেশগত হুমকির কারণে এলাকারবাসীর বাধার মুখেও সে বালি উত্তোলণ অব্যাহত রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেটের ডাইক নং দুই. শহরের কস্তুরাঘাট সরকারী ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে সরকারী ৭ একর খাস জমিতে ৫ কোটি সেপ্টি বালি টার্গেট করে বর্তমানে সক্রিয়ভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় নির্বিচারে দিন রাত বালি উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উক্ত বালি খেকো নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। উক্ত সিন্ডিকেটের ডাইক নং তিন. কক্সবাজারের খুরুশকুলে প্রভাবশালী অসাধু বালি খেকো ব্যাক্তিকে ম্যানেজ করে অসহায় মানুষের ৭০ একর চাষী জমি জোরপূর্বক দখল করে বালি উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীদের। বাঁকখালীর ড্রেজিংএর শত কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের খুটির জোর কোথায়? এর পেছনে কারা জড়িত? প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জসিম উদ্দিন জানান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মেরি কালচার ইনিস্টিটিউট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসতিয়াক মতিনের সাথে বালি খেকো নুরুল ইসলামের সাথে শর্ত সাপেক্ষে বালি বিক্রির মুল টাকা থেকে লভ্যাংশ তিন শতাংশ হারে প্রদান করে মতিনকে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। ড্রেজিং পরিচালনার নুুরুল ইসলাম সেন্ডিকেট বাকঁখালী ড্রেজিং নদী থেকে উত্তোলিত বালুর ডাইক ৪ টি। প্রতি ডাইকে ২ থেকে ৩ কোটি সিএফটি বালি গড়ে প্রায় ৭ কোটি সিএফটি বালি উত্তেলিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বালু খেকো নুরুল ইসলাম। রেল লাইনের কাজে নিয়োজিত সৌরভ কোম্পানী, ম্যাক্স কোম্পানী, চাইনা কোম্পানীকে ১৪ টাকা দরে বালু বিক্রি করে শত কোটি টাকার মালিক নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে অন্যের উত্তোলিত বালু নিজের দাবী করে ইতোমধ্যে অনেক প্রতারণাও করেছে নুরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। শহরের এসএম পাড়ায় উত্তোলিত বালু নিজের দাবী করে বিপুল অংক হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করে সে। পরবর্তীতে মোটা টাকার দফারফার মাধ্যমে তা চুকে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিজেই স্বীকার করেন। অপরদিকে বালি উত্তোলন করতে গিয়ে রাজস্ব ফাঁকি ও পরিবেশের বিপর্যয় হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার।