মহেশখালী প্রতিনিধি:

সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিশুসহ মহেশখালীর ৩ প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

২১ অক্টোবর সৌদি আরবে নিহত প্রবাসী মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের মৃত আমজু মিয়ার পুত্র নুরুল হাশেমের  লাশ দেশে এসে পৌছলেও ২০ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় নিহত বড়মহেশখালীর মিয়াজীর পাড়া গ্রামের মৃত আলী চাঁন এর পুত্র আব্দুল্লাহ সাহাব ও তার ৩ বছরের শিশু কন্যা শারমিন এর লাশ এখনও দেশে পৌছেনি। এ নিয়ে এলাকায় শোকের মাতম চলছে।

নিহতদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত  ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় মালয়েশিয়ায় নিজে চালিত মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মারা যান উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়া গ্রামের মৃত অালী চাঁন এর পুত্র আবদুল্লাহ সাহাব(৩৩) ও তার সাথে গাড়ীতে থাকা ৩ বৎসরের কন্যা শারমিন।

নিহতের চাচা মাওঃ রফিকূল ইসলাম বকুল জানান, নিহত আব্দুল্লাহ সাহাব দীর্ঘ ১২/১৪ বছর পূর্বে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারি জনৈক বাঙালী মেয়ে বিয়ে করে স্বপরিবারে বসবাস করে অাসছিল। ২০ অক্টোবর রাতে তার ছোট মেয়ে শারমিনকে সাথে নিয়ে নিজস্ব মোটর সাইকেল চালিয়ে জেলখানায় অাটক থাকা অপর অাত্নীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে অপর একটি মোটর সাইকেল তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুটি মোটর অারোহী ৩ জনই মারা যান। ঘাতক নিহত মোটর সাইকেল আরোহী মালয় বলে জানা যায়। তারা পিতা কন্যার লাশ দেশে আনার প্রকৃয়া চলছে বলে পারিবারিক সুত্র জানান।

অপর দিকে সৌদি আরবে প্রবাসী মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের মৃত অামজু মিয়ার পুত্র মোঃ নুরুল হাসেম (৩০) মারা যান সড়ক দূর্ঘটনায়। তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সে দেশের বাড়ীতে এসে ছুটি শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে ফিরে গিয়ে  মক্কা নগরীতে নিজ কর্মস্থলে যোগ দেন। ২৫ সেপ্টেম্বর পবিত্র ওমরা পালন করে ২৭ সেপ্টেম্বর নিজের গাড়ী নিয়ে কাজে যাওয়ার পথে তেলবাহী লরির ধাক্কায় সে ঘটনা স্থলে মৃত্যু বরণ করেন। সৌদি আরবের আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ২০ অক্টোবর পবিত্র হেরেম শরীফে  জানাযা শেষে বিকেল ৫ টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে তার লাশ পৌছে।

২১ অক্টোবর  সোমবার সকাল ১০ টায় রাজুয়ার ঘোনা মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা মাঠে মরহুম নুরুল হাসেমের জানাযা শেষে দাফন দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।