কক্সবাজারের কয়েকটি অনলাইন ওয়েব পোর্টালে গেল কয়েকদিন ধরে উখিয়া উপজেলার “রত্মাপালং গ্রামে চাউল দোকানদারের রাজকীয় বিয়ে”- শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আমি প্রতিবাদকারী উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর স্বার্থন্বেষী মহল আমাদের পারিবারিক সুনাম নষ্ট করার জন্য এই ধরনের জঘন্য মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ পরিবেশ করেছে বলে আমার ধারনা। আমার বাবা কালু সাওদাগর,দীর্ঘ ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে কোর্ট বাজার এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছিল। বাবার সুনামকে ধরে রাখতে আমরা তিনভাই ব্যবসা শুরু করি এক যুগ ধরে। আমাদের মালিকানাধীন কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান এলাকায় একটি বড় চালের আড়ৎ, গ্যাস স্টোভ ডিপো এবং এরএফএলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ডিলার রয়েছে।এই ব্যবসা থেকেই মূলত আমাদের যাবতীয় আয়ের উৎস।

আমাদের কনিষ্ট ভাই, মোহাম্মদ ফিরোজ সেও আমাদের পরিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের অংশিদার। গেল ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ছিল মোহাম্মদ ফিরোজের বিয়ে। যেহেতু পরিবারের শেষ বিয়ে তাই এলাকাবাসীর এবং আত্মীয়স্বজনের প্রত্যাশার প্রেক্ষিতে আমাদের আয়োজনটা একটু ঝাঁকজমকপূর্ন ছিল। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমরা কণের পরিবারকে কোন ধরনের আয়োজন করতে দেয়নি। যেটা ইসলাম সমর্থন করেনা আমরা ধর্মপ্রান মুসলমার হয়ে সে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের হিসেব মতে, বিয়ের দিনে সাজসজ্জা থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন পর্যন্ত আমাদের চার লক্ষ টাকার চেয়ে বেশী খরচ হওয়ার কথা নয়। বর্তমানে সময়ে যে কোন সাধারন মানের বিয়েতেই এই ধরনেরই খরচ হয়। কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজকীয় বিয়ে। আর ঢাকা শহরের ভিআইপি বিয়েতে অংশ নেয়ার কথাও বলা হয়েছে, যা মোটেই সত্য নয়। এলাকার গন্যমান্য এবং সাধারন মানুষের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মত। আর আমাদের যেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্টান আছে, তাই কিছু ব্যবসায়ী কাছের বন্ধু ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে এসে যোগ দিয়েছে। এর বাইরে কিছুই হয়নি। তাই আমি প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

মোহাম্মদ নুরুল আমিন

পিতা : মোহাম্মদ কালু সওদাগর।

মাতবর পাড়া, রত্নাপালং, উখিয়া, কক্সবাজার।