এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের তহবিলের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও করণিককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান।

হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ধর ও করণিক মনজুর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে বিদ্যালয়ের তহবিলের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। শুনানী শেষে ১৩ অক্টোবর আদালতের বিচারক অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অগোচরে অভিযুক্তরা যোগসাজসে ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে বিদ্যালয় ফান্ডের অন্তত ১১ লাখ ৯ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে অডিট কালে আত্মসাতের বিষয়টি কমিটির নজরে আসে। এরপর উল্লেখিত টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে একাধিকবার ফেরত দেয়ার অনুরোধ করা হলেও তাঁর ফেরত দেননি।

এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে প্রথমে বরখাস্ত করা হয়। পরে কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোছাইন বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি (সিআর ১০২৭/১৮) মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালত দুইজনের বিরোদ্ধে সমন জারি করেন।

পরে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে জামিনে আসেন ওই দুই শিক্ষক। কথামত প্রায় ৪ লাখ টাকা পরিশোধও করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধ না করে গড়িমসি করতে থাকেন। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে গত ১৩ অক্টোবর মামলার ধার্য্যদিনে শিক্ষক তপন কুমার ধর ও করনিক কাম শিক্ষক মনজুর আলমের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও মামলার বাদী কামাল হোছাইন বলেন, হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পরস্পর যোগসাজসে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অগোচরে ভুঁয়া বিল ভাউচার বানিয়ে বিদ্যালয় ফান্ডের ১১ লাখ ৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অডিটে আত্মসাতের ঘটনাটি প্রমাণিক দুইজনকেই বরখাস্ত করেন বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। পরবর্তীতে তাঁরা আদালতের নির্দেশে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে গা ঢাকা দেন। বিষয়টি আদালতকে জানালে জামিন বাতিল করে দুইজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

অভিযুক্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ধর উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ধর পাড়া গ্রামের মৃত রমেশ চন্দ্র ধরের ছেলে। অপরজন করনিক-শিক্ষক মনজুর আলম একই উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মোস্তাক আহমদের ছেলে।