মোঃ ফারুক, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপহরণের তিনদিন পর মুহাম্মদ আরফাত (৮) নামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটি ওমান প্রবাসী বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা এলাকার রুহুল কাদেরের ছেলে ও ফাশিয়াখালী ফাজিল মাদ্রাসার নুরানী শাখার ১ম বর্ষের ছাত্র।

শনিবার (১৯অক্টোবর) রাত ৮টায় মগনামার নাপিতের দিয়া এলাকার নির্জন লবণ মাঠ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, মগনামা ইউনিয়নের মগঘোনা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ রায়হান ও মিয়াজি পাড়া এলাকার মানিকের নেতৃত্বে একদল অপহরনকারী গত বৃহস্পতিবার শিশুটিকে অপহরণ করার পর ১০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন।

অপরহরণের ঘটনার পরপর অপহরণকারী দুইজনসহ ছয়জনকে পুলিশ আটক করে। গত তিনদিন ধরে শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ অপরহরণকারীদের নিয়ে বিভিন্নস্থানে তল্লাশি অভিযান চালায়।
তবে অপহরণকারীরা সঠিক ঠিকানা না দেওয়ায় শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সর্বশেষ অপহরণকারীদের নিয়ে পুলিশ কক্সবাজারের একটি স্থানে অভিযান চালাতে গিয়ে শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানান এবং লাশটি মগনামার লবণ মাঠে আছে বলেও জানান। তারপরই শনিবার রাতে পুলিশ তাদের নিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

শিশুটির মা রুজিনা আক্তার বলেন, আমার সন্তান ১৭ তারিখ ১২টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে। ১টার দিকে তাকে ভাত খাওয়ানোর জন্য খুঁজতে থাকি। বিভিন্ন জায়গা ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তার খোঁজ না পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হককে বিষয়টি অবগত করি। তিনি থানা প্র্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেন।

এরই মাঝে শুক্রবার সকালে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে একটি মোঠোফোন থেকে কল করে ১০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। পরে এর সূত্র ধরে পুলিশ গোয়াঁখালী মাতবর পাড়া থেকে ৬ অপহরণকারীকে আটক করে। আজ (শনিবার) আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমার ছেলেকে আর ফিরে পাব না কিন্তু অপরহরণকারীদের দ্রুত শাস্তি চাই।

পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন, শিশুর লাশটি বর্তমানে উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু সময় পরে বিস্তারিত জানানো হবে।