ডেস্ক নিউজ:

পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি টিভি, মোবাইল, ট্যাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে বা কম্পিউটার, ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া উচিত নয়। আর একবছরের কমবয়সীদের একেবারেই স্ক্রিনের সংস্পর্শে আনা উচিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ এগুলো।

সংস্থাটি এ বিষয়ে তার প্রথম গাইডলাইনে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়।

তাদের মতে, ভালো কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে ও পরবর্তী জীবনে স্থূলতাসহ নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতা এড়ানোর জন্য পাঁচ বছরের কমবয়সীদের শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা দরকার।

ওদের পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। এমনটাই জানানো হয়েছে তাদের এক নীতিমালায়।

সংস্থার বিশেষজ্ঞ ড. ফিওনা বুল বলেন, ইলেকট্রনিক যন্ত্রের পর্দায় যেন বাচ্চারা সময় কম দেয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক করে দিতে চাচ্ছি।

গবেষণা জানায়, এক থেকে চার বছর বয়সের শিশুদের প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা বিভিন্ন শারীরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা দরকার। আর এক বছরের কমবয়সীদের সব ধরনের স্ক্রিন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে দেওয়া উচিত। তাদের মেঝে-কেন্দ্রিক নানা খেলাধুলায় মগ্ন রাখতে হবে।

ডব্লিউএইচও বলছে, শারীরিক সক্রিয়তার অভাবে বিশ্বব্যাপী স্থূল ও বেশি ওজনের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আবার এ থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের নানা রোগ ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অল্পবয়সে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।

ড. ফিওনা তাই বলছেন, খুব অল্প বয়স থেকেই এসব রোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ শুরু করা দরকার।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি তিন জনের একজন স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত। ওদিকে প্রতি চার জনে একজন পর্যাপ্ত শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম করে না।

বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কমবয়সী ৪ কোটি শিশু অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী। এদের অর্ধেকই আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের। এই সংখ্যা পুরো বিশ্বের শিশুদের প্রায় ৫.৯ শতাংশ।

শৈশবের সময়টা সক্রিয়তার, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার। এই সময়েই শিশুরা অভ্যাস ও পারিবারিক জীবনধারাগুলো আয়ত্ত করে নেয়।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার শিশুর উপর চালানো গবেষণায় পাওয়া উপাত্ত থেকে একথা জানায় ডব্লিউএইচও।

হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানোর চেয়ে মোটরচালিত যানে চড়া, স্কুলে ডেস্কে বসে থাকা, স্ক্রিনভিত্তিক খেলা বা টেলিভিশনের পর্দায় মগ্নতা স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বিএমআই বা বডি-মাস-ইনডেক্স পরিমাপে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের অপর্যাপ্ত ঘুমও শিশুদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণ হয়ে ওঠে।