মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পানি সরবরাহের জন্য জন্য ১০ হাজারেরও অধিক গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। আরো কিছু গভীর নলকূপ বসানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য হাজার হাজার গভীর নলকূপ দিয়ে এভাবে পানি উঠাতে গিয়ে ভূর্গভস্থ পানির স্থর (ওয়াটার লেয়ার) অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে যাচ্ছে। এখনি এসব গভীর নলকূপ বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ না হলে উখিয়া-টেকনাফ এলাকা হয়ত একসময় মরুভূমিতে রূপান্তর হবে। এই এলাকার মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীকূল বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এখানে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া, এখানকার পাহাড় গুলো বৃক্ষশূন্য হওয়ায়, পাহাড়ের রূপ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় ও অবাধে পাহাড় কাটার ফলে সেখানকার ভূমিও বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে পারছেনা। তাই ভূগর্ভ থেকে গভীর নলকূপ দিয়ে পানি উঠানো বন্ধ করে দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সুপেয় পানির অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।

শুক্রবার ১৮ অক্টোবর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৮ম সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উক্ত সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমদ এমপি, প্রতিমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও একই কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, আনোয়ার হোসেন এমপি, মোজাম্মেল হোসেন এমপি, নাজিম উদ্দিন এমপি, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সভায় উপস্থিত ছিলেন-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন (প্রশাসন), পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ), কমিটির সচিব ও সরকারের উপসচিব এ.কে.এম.জি কিবরিয়া, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ সহ সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারীরা।