জসিম মাহমু, টেকনাফ:

মিয়ানমার থেকে এ পযর্ন্ত টানা ১৮দিনে ১০হাজার ২০৩মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ।এসব পেঁয়াজ ভতি ট্রলার আসছে টেকনাফ স্থলবন্দরে।
এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ৮৫০মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এই নিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর ১৫দফায় ১০হাজার ২০৩মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। খালাস হওয়া পেঁয়াজ ছাড়াও নাফ নদীতে আরও ছয়টি ট্রলারে ৪০০মেট্রিক টন(আজ)শুক্রবার সকালের খালাস হওয়ার কথা রয়েছে। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আবছার উদ্দিন।
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, খালাসে বিলম্ব হওয়াই এক সপ্তাহে তিন হাজার বস্তার বেশি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।বন্দরে পযাপ্ত পরিমানের শ্রমিক না থাকায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। লোকসান টেকাতে ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এতে করে বাজারের পেঁয়াজের দাম আবারো বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের লোকসান কমাতে সরকারের নজরদারি দাবীর প্রযোজন।
স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়।এরমধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের ৩হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।যাহার আমদানিমূল্য ১৫ কোটি কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৫৭ টাকা।ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর মিয়ানমার থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৫০; ১ অক্টোবর ৫৬৯; ২ অক্টোবর ৫৮৪; ৩ অক্টোবর ৮০৩; ৫ অক্টোবর ৪৩৯; ৬ অক্টোবর ৪০৭; ৭ অক্টোবর ১ হাজার ১১৬; ৯ অক্টোবর ১২৭৬; ১০ অক্টোবর ৪২১; ১২ অক্টোবর ৬১৯; ১৩ অক্টোবর ৭৬০, ১৪ অক্টোবর ৮৩১; ১৫ অক্টোবর ৬৬৪; ১৬ অক্টোবর ২০৪ ও (গতকাল)বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ৮৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।(এরমধ্যে গত ৮ অক্টোবর দূগাপুজা ও ১১ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় দুইদিন মালামাল খালাস বন্ধ ছিল)।প্রতিটন পেঁয়াজের শুল্কায়ন ৫শত ডলার।
আমদানিকারকরা জানান, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আনা হচ্ছে।তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে খালাস প্রক্রিয়া করতে না পারায় বস্তা বস্তা পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন।মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলারগুলো স্থলবন্দর এসে নোঙ্গর করে রাখতে হচ্ছে।বস্তা ভতি হওয়াই দিনে এনে দিনে সরবরাহ করতে না পারায় গরম ও বৃস্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।এরপরও দেশের স্বাথের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এখনও পেঁয়াজ আমদানি করছেন।
এদিকে, টেকনাফের বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭৫-৮০টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।

স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজভর্তি ট্রলারগুলো দ্রুতগতিতে খালাস করা হলেও ব্যবসায়ীরা বন্দর কতৃপক্ষে বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করছেন।ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দিন-রাতে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ভর্তি ৬৫টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।মিয়ানমার থেকে আসা আরও কয়েকটি ট্রলার জেটিতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এসবে ভ্যাট আদায় করা থাকলে কাস্টমসের অনুমতিতে খালাস করা হবে।