মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রেম। তারপর দৈহিক সম্পর্ক। এরপর অভিভাবকেরা মেনে নেওয়া, না নেওয়া। প্রেমিকা নাবালিকা। জোর করে প্রেমিক উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষন করেছে। মুখবেঁধে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে। ইত্যাদি মিথ্যা ও গতানুগতিক কিছু অভিযোগ এনে কক্সবাজারে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বেশী। এ ধরনের মামলাগুলোর অধিকাংশই প্রয়োজনীয় সাক্ষী ও তথ্য উপাত্তের অভাবে আদালতে প্রমাণ করা যায়না। এজন্য বালক-বালিকা উভয়ের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বেশী। উভয়ের অভিবাবকের সংসারে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। অহেতুক অভিভাবকদের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে, কোর্ট কাচারী থানায় গিয়ে। নষ্ঠ হচ্ছে উভয়ের শিক্ষাজীবন, নষ্ট হচ্ছে-অর্থ ও সময় উভয়ের। টেনশনে থাকতে হয় পুরো পরিবারকে। অভিবাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে এবিষয়ে একটু সচেতন হলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের সন্তানেরা অল্প বয়সের দোষে আবেগী হয়ে প্রেমে জড়াতে পারতোনা। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এ বিষয়ে আরো সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সামাজিকভাবেও এর নেতিবাচক দিক তুলে ধরতে হবে। তাহলে যুবসমাজের সমাজের মধ্যে সামাজিক অবক্ষয়ও কিছুটা রোধ হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট অফিস গুলোকেও এ ধরনের কর্মকান্ড নিয়ে অযথা আর ব্যস্ত থাকতে হবেনা।

রোববার ১৩ অক্টোবর সকালে কক্সবাজার জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁর বক্তব্যে একথা বলেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃংখলা কমিটির উক্ত সভায় কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবদুল মতিন, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান সহ জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।