রিদুয়ানুর রহমান:
অনেককেই বলতে শুনেছি আর লিখতে দেখেছি আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে ছাত্রদল একটা সুযোগ নিতে চেয়েছে। আপনাদের প্রথমেই বলি শুনুন, এমন সস্তা রাজনীতি করে না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রসংগঠনের কাজ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করা, প্রতিবাদ করা। যেখানে দেশের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের কতিপয় সন্ত্রাসীরা পিঠাতে পিঠাতে মেরে ফেললো! সেখানে তাদের দাবি ছাত্রদল চুপ থাকুক। কোন যৌক্তিতে এসব চিন্তা মাথায় আসে আপনাদের? প্রতিবাদই যদি না করে তাহলে ছাত্রদলের কাজ কিরে ভাই? গত ৯তারিখ গোটা বাংলাদেশে আবরার হত্যার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। এবং যে দিন হত্যা করা হয়েছে সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মিছিলটি ছাত্রদল করেছে। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে গোটা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। ৯তারিখ কক্সবাজার শহরে আমরা মিছিল নিয়ে বের হয়ে লালদিঘী এলাকা পৌছালে অতর্কিতভাবে মিছিলে হামলা করে পুলিশ। হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্রদলের এক নেতাকে দেখলাম এক হাত গলায় আর এক পা ভেন্ডিজ করে এক পায়ে অন্যের উপর ভর করে হাটতে। সবকিছুর পরও ছাত্রদলের প্রতিবাদ অব্যাহত থেকেছে। সর্বশেষ সকল ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের গণদাবির মূখে বুয়েট প্রশাসন বুয়েট ছাত্রদের ৫দফা দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। যা নিসন্দেহে বলা যায় ছাত্র আন্দোলনের ফল। বিরোধীমত আন্দোলন করলে বা আন্দোলনে শামিল হলে সাধারণ ছাত্রআন্দোল গতিহারাবে যাদের এমন সস্তা ভাবনা রয়েছে তাদের বলবো ছাত্রসংগঠন গুলোর প্রতি ইতিবাচক হোন আর ছাত্ররাজনীতির অন্তরালে সন্ত্রাস যারা করে তাদের না বলুন ৷ এ দেশ আপনার আমার সকলের, নিজের ভূ-খন্ডকে ভালবাসুন।

লেখক: সদস্য সচিব ,জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল,উখিয়া উপজেলা শাখা, কক্সবাজার।
ই-মেইল: riduanurrahman73@gmail.com