আবদুল মালেক, রামু :
কক্সবাজারের রামুতে পেঁয়াজের ঝাঁজ এখনো কমেনি।জেলা প্রশাসন কর্তৃক সমগ্র জেলাজুড়ে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৭০ – ৮০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। রামুর ফকিরা বাজার, চৌমুহনী বাজার, জোয়ারিয়নালা বাজার, কাউয়ারখোপ বাজার,গর্জনিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে,রামুতে ৭০ টাকা,জোয়ারিয়ানালতে ৮০ টাকা,কাউয়ারখোপে ৮০ টাকা,গর্জনিয়া বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
রামু চৌমুহনী বাজারে ১০ অক্টোবর সকালে বাজার করতে আসা এক সরকারী কর্মকর্তা জানান,সরকার ভারত,মায়ানমার, তুরস্ক সহ বিভিন্ন দেশ হতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে এবং তা খুচরা বাজারে সরবরাহ করে দিয়েছে তারপরও কেন এত চড়া দামে তাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তার জন্য হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।রামু ফকিরা বাজার,কাউয়ারখোপ, গর্জনিয়াতেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।গর্জনিয়া বাজারে বাজার করতে আসা এক শ্রমিক জানান,উচ্চ দামের কারণে তিনি আজ এক সপ্তাহ যাবৎ তরকারিতে পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।তার দাবী বিভিন্ন জনগণের কাছ থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার খবর শুনে থাকলেও গর্জনিয়াতে তার কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয় নি।তিনি বলেন,লোক মুখে শুনেছি রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকি খুব একজন ভাল মানুষ। তিনি নাকি সাধারণ লোকের স্বার্থকে খুব বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।তাই তিনি পেঁয়াজের বাজারে অভিযান চালানোর জন্য রামুর ইউ এন ও মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।বাবু নামে একজন ক্রেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি আপলোড করে বলেন,রামু ফকিরা বাজারে পেঁয়াজ গুদামে পঁচে যাচ্ছে অথচ বাজারে তার দাম কমার কোন লক্ষ্মণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।তিনি এ ব্যাপারেও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা মহোদয়ের অভিযান পরিচালনা কামনা করেন। এব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে অপারগতা জানান।কেউ কেউ উচ্চ দামে পেঁয়াজ ক্রয় করে লোকসান দিয়ে কেমনে তা বিক্রি করবে বলে দাবি করেন।তাছাড়া বেশ কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বলে বেশ কিছু ক্রেতা সাধারণ অভিযোগ করেন।তারা এই সব বন্ধে প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করার জোর দাবী জানান।