রহিম আব্দুর রহিম

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে খেঁটে খাওয়া মানুষদের মাঝেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় টকশো, প্রিন্ট মিডিয়ায় সমালোচনা গ্রাম-গঞ্জের চায়ের কাঁপে যখন শেখ হাসিনার সময়ের সাহসী পদক্ষেপে ভূঁয়শী প্রশংসা হচ্ছিল, ঠিক ওই সময় আবরার ফাহাদ নামে বুয়েট এর এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে নির্মম, নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করলো ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে সারাদেশে আনাচে কানাচে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। স্বজনহারা বঙ্গকন্যা নিজেও এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য সোচ্চার, তা তিনি স্পষ্ট করেছেন ৯অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে। ছাত্রলীগের নামে নাকি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে ’৭১ ন্যায় পাকিস্তানি আদোলের নির্যাতন সেল। আশ্চার্য! ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগে ছাত্র সমাজের কল্যাণ ব্যতিত, অন্য কিছু হবার কথা নয়। কেন এমনটা হচ্ছে? লেখাটি যখন তৈয়ার করছিলাম, ঠিক তখনই বর্তমান সরকারের একজন নীরব শুভাকাঙ্খী ফোন করে জানতে চাইলেন, ‘আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ১ হাজার ৫’শ জনের একটি তালিকা নাকি প্রধানমন্ত্রীর হাতে?’ বললাম, প্রধানমন্ত্রীর হাতে কি আছে, না আছে, তা জানি না। তবে তিনি সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সম্পর্কে জানেন এবং তাদের খোঁজ খবর রাখেন। ফলে অনু প্রবেশকারীদের তালিকা থাকতেই পারে। এবার তিনি জানালেন মজার সংবাদ, ‘ভোলা জেলার চরফেশন উপজেলা, গ্রামের নাম এওয়াজপুর। ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আল মামুন, যিনি ২০০১ এর পর তৎকালীন বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দীন আলম এর একনিষ্ঠ সহচর এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। বর্তমানে ওই ব্যক্তি, চরফেশন উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত এমপির ডানহস্ত। দলীয় দাপটে ইউনুস আল মামুন বর্তমানে প্রায় ৫’শ কোটি টাকার মালিক। মামুনের ভগ্নিপতি এক সময়কার বিএনপি’র লেজুড়ধারী ওবায়েদুল হক রতন, চরফেশন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। যার গ্রামের বাড়ি উপজেলার উসমানগঞ্জ ইউনিয়নে। একই উপজেলার এক সময়কার জামায়াতে ইসলাম এর প্রভাবশালী নেতা, মাওলানা মাইনউদ্দী বর্তমান চরফেশন উপজেল আওয়ামীলীগের সভাপতি সেজে দু’হাতে লুটপাট করছে, তা কি প্রধানমন্ত্রী জানেন? বললাম জানতেও পারে, নাও জানতে পারে। তাকে জানালাম, এটা শুধু ভোলার জেলার চরফেশন উপজেলার চিত্র না, সারা দেশের একই অবস্থা। একা প্রধানমন্ত্রী কি করবেন? দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে সুবিধাবাদী- অপরাধীরা। যারা দলীয় ব্যানারে অবাধে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হওয়ায় সরকারে ব্যাপক উন্নয়নে কলঙ্ক লেপন হচ্ছে। পাঠকে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়ে মূল কথায় যাচ্ছি, বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভাষনের (দিন তারিখে মনে নেই) শেষে, কবি সুকান্তের কবিতার বাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন, “এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ; মৃত আর ধ্বংস স্তুপ পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের, চলে যাব, তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণ-পনে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।” দেশের সর্বস্তরে যখন উন্নয়নের পরিকল্পিত প্যাকেজ চলমান, ঠিক ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সুকান্তের কবিতা উচ্চারণের অন্তরালে যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বহি:প্রকাশ, তেমনি অসাধুদের প্রতি চরম হুঁশিয়ারী। দুর্ভাগ্য! প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় উচ্চারণ বেকুবরা বুঝতে পারে নি। এরপরও এরা নাকি মেধাবী। কথায় আছে, ‘যার বুদ্ধি হয়না নয়ে, তার বুদ্ধি না হয় নব্বইয়ে।’ ১৯৭৫ এর ১৫আগস্টের পর দীর্ঘ ৬বছর ভারতে অবস্থানের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরেন এবং আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। সাগরসম চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। সময়কাল প্রায় একযুগ। শেখ হাসিনার মতে, ‘সংগঠন আমার পাশে, বাংলার জনগণ আমার পাশে, তাদের দোয়া আর্শিবাদ এটাই আমার শক্তি।’ তাঁর বিশ্বাস, ধারণা এবং চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তিনি প্রান্তিক জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেবার যে মিশন চালিয়ে যাচ্ছে তাতে ঘুণধরা, অসম্ভব!। নড়ে-চড়ে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা কত বড় দেশ প্রেমিক, রাজনীতিবিদ, সাহসী এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাল্লায় যখন তিনি পা রেখেছেন, ওই সময়, এ কোন ধরণের নাটকীয় কলঙ্ক। এরপরও জাতি বিশ্বাস করে, বজ্রের মত কঠিন-কঠোর ও ফুলের মত কোমল শেখ হাসিনা তাঁর মিশন থেকে পিছপা হতে পারে না। গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিউয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান হচ্ছে, ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈয়ার না হয়। সেই কাজটি আমি নিজের ঘর থেকেই শুরু করেছি; এটি অব্যাহত থাকবে। আমি বলতে চাচ্ছি, ওয়ান ইলেভেন লাগবে না। কোন অন্যায় হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরাই নেবো। এ ধরনের আঘাতের দরকার ছিল, ধরেছি যখন ভালোভাবেই ধরেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ তাঁর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, বাঘে ধরলে ছাড়ে, শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না।’ এটা শুধু কথার কথাই নয়। রূঢ় সত্য। শেখ হাসিনা এমন একজন রাজনীতিবিদ যাঁকে কেনা যায় না। এর চাক্ষুস দলিল দাড় করেছেন সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ। তিনি তার এক পান্ডু লিপিতে উল্লেখ করেছেন। ‘ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সেনা গোয়েন্দাদের দল, একদিন আমার সঙ্গে বৈঠক করে। পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তারা আমাকে জানায়, একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া সব রাজনীতিবিদকে কেনা যায়।’ জাতির বৃহৎ অংশ এমনটাই বিশ্বাসও করেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এমন একটা অভিযান চালাবে তা কেউ কল্পনাই করে নি। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, মাদক-জুয়া যখন গাঁও গ্রামে ঢ়ুকে পড়েছে তখনি প্রধানমন্ত্রীর অভিযান। যা ভূঁয়শী প্রসংশনীয়। প্রশ্ন, তিনি তাঁর ঘরে থেকে শুদ্ধি অভিযানের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, সেই প্রকল্পে তৃণমূল পর্যায়ের অর্থাৎ ৬৪ জেলার সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের ভেতর বাহির কেমন তা কি রয়েছে? বর্তমান সরকারের আমলে দলীয় ব্যানারে যে পরিমান অপকর্ম-দুর্নীতি হয়েছে, তার চেয়েও দ্বিগুণ দুর্নীতি লুটপাট হয়েছে, হচ্ছে প্রশাসনিক পর্যায়ে । দুঃখজনক হলেও সত্য, ইউনিয়ন পর্যায়ের আতি-পাতি নেতারাও থানা পুলিশের যোগ-সাজশে মাদক, জুয়ার স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে। শুধু তাই নয়, একই সাথে বিচার-আচারের নামে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকেও চাঁদাবাজীও কম করছে না। গ্রামের মেঠোপথ এখন পিচঢালা, অথচ এই উন্নয়নের অন্তরালে ঠিকাদাররা লাগামহীন দুর্নীতি করায়, বছর পার না হতেই পাঁকা রাস্তা, ব্রীজ কালর্ভাট ভেঙ্গে যাচ্ছে, খসে পড়ছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ইমারত। বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ গড়তে হলে, সোনার মানুষদের দখলে যেমন রাজনৈতিক মঞ্চ থাকতে হবে; তেমনি সৎ নিষ্ঠাবান দেশ প্রেমিক মানুষদের হাতে প্রশাসনিক ‘চাবুক’ তুলে দিতে হবে। অসংখ্য দুর্জনরা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্টেট্রাসে উল্লেখ করেছেন, দেশের ৬৪ জেলার, ৬৪ জন জেল প্রশাসক, ৬৪ জন পুশিল সুপার ৩’শ নির্বাচিত এমপি যদি ইচ্ছা করেন, তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি দেশের দুর্নীতি র্নিমূল করা সম্ভব। কিন্তু তা হচ্ছে না কেন? তবে কি পুরো দেশটা মামা-ভাগনের রাজ্যে পরিনত হচ্ছে? বাস্তবতা খুবই দুঃখজনক, তৃণমূল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চালাচ্ছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি বলে মুখে ফেনা তুলছে। পৃথিবীর কোন সৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রকাশ্য রাজনীতি করে না। তবে রাজনৈতিক সরকারের একনিষ্ঠ সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মাত্র। বর্তমান সরকারের আমলে যার ব্যতয় ঘটছে। এ লক্ষণ শুভ নয়। গত ২অক্টোবর হোটেল সোনরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট -১ এ বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অপকর্মে জড়িত থাকলে দল- পরিবার কাউকে ছাড় নয়।’ তাঁর বক্তব্য থেকে বুঝতে বাকি থাকে না, তিনি দেশটা দুর্নীতিমুক্ত করার সংগ্রামে উঠে-পড়ে লেগেছেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলে, জাতি তৃপ্ত হবেন বলে অনেকেই মনে করছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল, ‘ডিসি-ইউএনওর কর্মমূল্যায়ন হবে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।’ ভাল, তবে সে ক্ষেত্রে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন মিলে মিশেই দেশটাকে যদি রক্ষা করে তবে কোন কথা নাই। ব্যতয় ঘটলেই জাতির কপালে দুর্গতি। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন নির্বাচিত এমপিদের, এরমধ্যে থানায় মামলার ব্যাপারে তদবীর না করা, ওসিদের পোস্টিং এ এমপিদের হস্তক্ষেপ না করা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে, টিআরসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প এমপিদের হাত থেকে না রাখা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে এমপিদের সভাপতি না রাখা। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কৌশল গ্রহণযোগ্য, তবে এতে করে বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দাপট বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । এদের নিয়ন্ত্রনে জনপ্রতিনিধিদের খবরদারীর প্রয়োজনও রয়েছে । গণতান্ত্রিক দেশে প্রশাসনিক রাম-রাজত্ব দৃষ্টিকটু এবং অশোভন । তৃণমূলে খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে, একই স্থানে একই জায়গায় দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাধে সিন্ডিকেড দুর্নীতে প্রশাসনের চুনোপুঁটিরাও রাঘব-বোয়াল সেজেছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য ৪ হাজার ৬’শ ৮২ দিন জেল খেঁটেছেন। অথচ স্বাধীনতার পর তিনি বেঁচে ছিলেন ১ হাজার ৩’শ ১৪ দিন মাত্র। অথচ তিনি ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী কঠোর অভিযান চলাকালে পত্রিকায় যখন আমরা দেখি , ”ক্যাসিনো ক্যালেঙ্কারিতে সাবেক তিন মন্ত্রী, এক সিটি মেয়র ও পাঁচ এমপি জড়িত, প্রধানন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।” বা “ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী এখন আওয়ামীলীগ নেতা।” অথবা “শেখ হাসিনাকে হত্যা মামলার আসামী মিজানের দেখা মিললো এক পুলিশ কর্মকর্তার অফিসে।” এ ধরনের সংবাদ, সরকারের নীরব ভক্তদের মাঝে যেমন আতঙ্ক-আশঙ্কার কারণ হয়ে দাড়ায়, তেমনি “শান্তি প্রতিষ্ঠায় ক্ষুধা দারিদ্রদূর এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অবদানের জন্য টেগোর শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় শেখ হাসিনার প্রতি কোটি মানুষের নির্বাক শ্রদ্ধা সচেতন মহলের অনুপ্রেরণারই সামিল। ২০২০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উৎযাপন হবে। সারা দেশে মুজিব বর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে। মুজিব বর্ষ পালনের শুরুতে জাতির জনকের বিদেহী আত্মার শান্তি প্রতিষ্ঠায়, জাতির প্রত্যাশা, দেশের সকল অপকর্ম নিধনে প্রধানমন্ত্রীর সোচ্চার ভূমিকা আরো কঠিন ও কঠোর হোক। নিপাত যাক বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দাপট। সু-শাসনের আগেই নিশ্চিত হোক সু-শাসক।

লেখক

সাংবাদিক, কলামনিস্ট, নাট্যকার ও শিশু সংগঠক
মোবাইল: ০১৭১৪-২৫৪০৬৬ ই-মেইল: bskt1967@gmail.com