বাজার করা হলোনা যুবকের!

মুহাম্মদ মনজুর আলম ,চকরিয়া :
চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন মার্কেটের গুলোর অলিগলিতে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য ইদানিং আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল এলাকা থেকে মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা অসংখ্য নারী-পুরুষদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। সর্বস্ব হারিয়ে গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত না থাকায় বাড়ীতে ফিরতে হাত পাততে হয়েছে অন্যজনের কাছে ভুক্তভোগীদের।
এমনকি স্কুল-কলেজ ছুটির পর বাড়ীতে যাওয়ার জন্য মার্কেটের পাশ দিয়ে হেঁটে গাড়ীতে উঠার সময়ও ছাত্রছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না এসব ছিনতাইকারীর কবল থেকে।
৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে পৌরশহরের কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসেন উত্তর লক্ষ্যারচর সিকদার পাড়া এলাকার যুবক লিয়াকত। তার পকেটে ছিল ৩৫০ টাকা। নিউ মার্কেট কাচাঁবাজার সড়কে আসামাত্র কয়েকজন যুবক তাকে একজন নারী দেখিয়ে কথা বলার অযুহাত দিয়ে একটি টমটমে তুলে তার পকেটে থাকা টাকাগুলো হাতিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলে মারধরও করা হয়। না হয় ইয়াবা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে বলেও হুমকি দেয় এসব চক্র। পরে সে লোকজনের সামনে কান্না করে এসব ঘটনার বর্ণনা দেন।
চকরিয়া আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ছিনতাইকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন মার্কেটে অবস্থান করে। তাদের সাথে কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী মার্কেটে আসলে তাদের চিহ্নিত করে তারা। কৌশলে ছিনতাইকারীরা মাকের্টে আসা স্ত্রীকে আলাদা করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রেখে স্বামীকে ডেকে বলে আপনার সাথে কথা আছে এই অজুহাত তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য গলিতে। তারপর শুরু করে মারধর ও শারিরীক লাঞ্চনা ।
এমনকি উল্টো ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটে সাথে থাকা নারীর সাথে কথা বলা হয়েছে কেন এমন অযুহাত তুলে স্বামীর পকেটে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। এর পর ছিনতাইকারীরা কৌশলে চটকে পড়ে। এ ঘটানার সময় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল হতে হয়। কোন রকম প্রতিবাদ করলে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা।
এমন কি মাকেটিং করতে আসা নারীদের ব্যবহৃত ব্যাগ থেকে টাকা স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিচ্ছে এসব চক্র। প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়ে খালি হাতে বাড়ী ফিরতে হয়েছে নাম না জানা অনেক ক্রেতাদের।
কয়েকজন ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, দিনদুপুরে এইভাবে প্রতিদিন ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম চলতে থাকলে মার্কেটে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। লোকজন মার্কেটে আসতে ভয় পাবে।
বুধবার দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হাবিবুর রহমান বলেন, এখনো পর্যন্ত ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি তারপরেও বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখব। তিনি আরও বলেন বর্তমানে চকরিয়া পৌরশহরে আইনশৃঙ্খল বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পুলিশী ব্যবস্থা জোরদার করা আছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।