মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

সারা দেশের মত বান্দরবানের লামা উপজেলায়ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। মঙ্গলবার বিকালে মাতামুহুরী নদীর সুখিয়া ও দুখিয়া পাহাড় পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয় এ উৎসব। এ সময় প্রতিমাকে বিদায় জানাতে নদীর চর ও পাড়ে শত শত ভক্তরা ভিড় জমায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে পূজা মন্ডপ গুলোতে চলে অর্চনা, আরতি নৃত্য আর সিঁদুর খেলা। নারীরা প্রতিমাকে সিঁদুর পরার পর একে অন্যকেও সিঁদুর পরান। শাস্ত্রীয় আচার শেষে প্রতিমাকে ট্রাকে তুলে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এটি নদীর সুখিয়া দুখিয়া পয়েন্ট চরে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে উপজেলার আরো ৪টি মন্ডপের প্রতিমাকেও নেওয়া হয় সেখানে। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইশরাত সিদ্দিকা। এতে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম, হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টচার্য্য, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ্, অর্থ সম্পাদক গোপন চৌধুরী ও উপজেলা’র বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন অতিথি ছিলেন। আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর একে একে একই স্থানে চাম্পাতলী লোকনাথ মন্ডপ, মেরাখোলা হরি মন্দির মন্ডপ, ইয়াংছা লোকনাথ মন্ডপ ও বগাইছড়ি হরি মন্দির মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেন ভক্তরা। একই দিন হায়দারনাশী মন্ডপের প্রতিমা নিজস্ব পুকুরে ও আজিজনগর হরি মন্দির মন্ডপের প্রতিমা মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া পয়েন্টে বিসর্জন দেওয়া হয় বলে জানান কেন্দ্রীয় দুর্গা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ। তিনি বলেন, গত তিন অক্টোবর মহা পঞ্চমি পূজার মধ্য দিয়ে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৮টি মন্ডপে একযোগে দুর্গা পুজা শুরু হয়। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মঙ্গলবার বিকালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে এ পুজা সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৮টি মন্ডপে সুষ্ঠুভাবে পুজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভিডিপি সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে দায়িত্ব পালন করেছেন।