এম. জিয়াবুল হক, চকরিয়া:

চকরিয়া পৌরশহরকে অবশেষে সবধরণের অপরাধপ্রবণতা থেকে মুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়ে যৌথভাবে একটি পাইলট প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আগামী একমাসের মধ্যে শহরজুড়ে বসানো হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। প্রাথমিক পর্যায়ে চকরিয়া পৌরশহরের বাণিজিক জনপদ চিরিঙ্গা-সোসাইটি ও আশপাশ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে অত্যাধিক পয়েন্টে স্থাপন করা হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এ কার্যক্রমের আওতায় সকল ধরণের অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারিতে থাকছে কিশোর গ্যাং, নাশকতা ইভটিজিংসহ অপরাধমুলক ঘটনা।

চকরিয়া পৌরশহরের অপরাধ প্রবণতার বিষয়টি আমলে নিয়ে  রোববার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও পৌরসভা কতৃপক্ষ একসঙ্গে বাণিজ্যিক জনপদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ক্যামরা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরির্দশনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌর সচিব মাসউদ মোরশেদ, ২নং ওয়াডের্র কাউন্সিলর রেজাউল করিম, ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মুজিবুল হক প্রমুখ। ওইসময় ইউএনও শিবলী নোমান ও মেয়র আলমগীর চৌধুরী সিসি ক্যামরা স্থাপনের জন্য সম্ভাব্য পয়েন্ট নির্ধারণ করতে চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, চকরিয়ায় বখাটে, টোকাই, ছিনতাইকারী, উত্ত্যক্তকারীসহ অপরাধীদের উৎপাত বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা ও থানা প্রশাসন। আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন পৌরসভা কর্তপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে পৌরশহরের চিরিঙ্গার মাতামুহুরী সেতু থেকে বাস টার্মিনাল প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত মহাসড়ক এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে অপরাধ কমার পাশাপাশি পুলিশের টেনশন কমে আসবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, প্রকল্পের প্রাথমিক অগ্রগতি হিসেবে প্রথমে অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধকল্পে চকরিয়া পৌরশহরকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। এজন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ক্যামেরা স্থাপন সম্পন্ন হলে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা থেকে মনিটরিং করা হবে সকল ধরণের তৎপরতা।’