নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের জন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছেন। ওই পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের নাম ‘দি বে অব বেঙ্গল সী-সাইড ইউনির্ভাসিটি’ করার দাবী তুলেছেন ওয়াহিদ খান নামে একজন শিক্ষক। এই নামাকরার করার দাবীর পেছনে অনেকগুলো কারণ তুলে ধরেছেন তিনি।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানান ওয়াহিদ খান। ওয়াহিদ খানের বসবাস ঢাকার গাজীপুরে। তিনি কক্সবাজারের খ্যাতনামা দুটো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি ও খুটাখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন। এছাড়া তিনি ঢাকা ব্যাংকেও দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন।
দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার সুবাদে কক্সবাজারের প্রতি আলাদা মায়া রয়েছে ওয়াহিদ খানের। সেই মায়ার টানে তিনি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত বিশ^বিদ্যালয়ের একটি সুন্দর নাম দেওয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছেন।

কারণ হিসেবে ওয়াহিদ খান বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি নাম। এক্ষেত্রে ‘দি বে অব বেঙ্গল সী-সাইড ইউনির্ভাসিটি’ নামটি যুগোপযোগী এবং আকর্ষনীয়।

কক্সবাজার শহরটি সমুদ্র বেষ্টিত। পৃথিবীর দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের কারণে সারা পৃথিবীজুড়ে পরিচিত এই শহর। এই শহরকে পৃথিবী ব্যাপী আরও পরিচিত এবং এখানকার ট্যুরিজমকে প্রমোট করার জন্য প্রস্তাবিত বিশ^বিদ্যালয়টি অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। সমুদ্র সৈকতের শহরের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়টির নাম ‘দি বে অব বেঙ্গল সী-সাইড ইউনির্ভাসিটি’ করলে দ্রæত পরিচিতি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি সাগর উপকূলে অবস্থিত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের টানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগ চালু করা হলে একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এক্ষেত্রে নামটি অন্যতম ফেক্টর বলে যুক্তি তুলে ধরেন ওয়াহিদ খান।

ওয়াহিদ খানের মতে, শিক্ষায় অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে কক্সবাজার। কোন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় না থাকার কারণে এখানকার অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। আবার প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী গিয়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ করে। অনেকে চান্স পায়, আবার অনেকে মানসিক চাপ নানা কারণে মেধা থাকা স্বত্বেও টিকে না। এরফলে ওই সমস্ত শিক্ষার্থীর পরবর্তীতে মানসিক ডিপ্রেশনে ভোগে। এই মানসিক ধাক্কা অনেক শিক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত সইতেও পারে না। তাই এখানে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়টি দ্রæত স্থাপন করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। একই সাথে তিনি এই বিশ^বিদ্যালয় কক্সবাজারের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে বলে দাবী করেন তিনি।