মো: আকতার হোছাইন কুতুবী ॥

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বাতিঘর, কুতুবদিয়ার কৃতি সন্তান, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক, বহুমুখী মেধার জ্বলন্ত প্রতিভা মাস্টার সিরাজুল ইসলাম মধু’র নামাজে জানাযা গতকাল বিকেলে কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার ছাত্র সমাজ, শিক্ষক, ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তাসহ কুতুবদিয়ার আপামর জনসাধারণের ঢল নেমেছিল একনজর প্রিয় মধু স্যারকে দেখার জন্য ভীড় লেগে যায়। ২ অক্টোবর রাত আড়াইটায় চট্টগ্রাম নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। জানাযার পূর্বে এক স্মৃতিচারণে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আ’লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মরহুমের জেঠাত ভাই এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়া তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী একজন গুণী ও বর্ষিয়ান ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাগুরুকে হারালো। তার এই মৃত্যুতে অপুরণীয় ক্ষতি কুতুবদিয়াবাসী পূরণ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ থেকে যায়। কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শহিদ উদ্দীন ছোটন, মরহুমের বড় ভাই সিরাজ-দ্দৌল্লাহ, মরহুমের দ্বিতীয় পুত্র পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদ মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানবৃন্দ, সকল প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে ছুটে আসেন মধু স্যারের প্রিয় ছাত্র, চট্টগ্রাম মঞ্চ শিল্পি সংস্থার সভাপতি আলাউদ্দিন তাহের, জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুড মর্নিং পত্রিকার সহ-সম্পাদক, জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও জাতির আলোর উপদেষ্টা সম্পাদক মোহাম্মদ আকতার হোছাইন কুতুবী।

উল্লেখ্য যে, সারা বাংলাদেশ থেকে মধু স্যারের ছাত্ররা জানাযায় অংশগ্রহণ ও একনজর দেখার জন্য কুতুবদিয়ার মাটিতে ছুটে যান। জানাযায় অংশ নেওয়া অনেকেই বলছেন, অতীতে এতবড় জানাযা হয়েছে কিনা তাদের মনে পড়ছে না। গুণী ও উদার মনের দিকপাল, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাস্টার সিরাজুল ইসলাম মধুকে মাতবর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা’র পাশে শায়িত করা হয়।