বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজার শহরতলীতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায় করছেন। বর্তমানে আইন আদালত ও প্রশাসনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নালিশী জমির মালিক। উচ্চ আদালতের আদেশকে গুরুত্ব দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ হতে বিরত থাকতে প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন জমির মালিক পক্ষ।

জানাগেছে, নালিশী জমি উচ্ছেদ নিয়ে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া বাসিন্দা বশির আহমদের পুত্র মৃত তাজুর মুল্লক এর পক্ষে তার ছেলে মোহাম্মদ মোবারক আলী কক্সবাজার গত ৪ আগষ্ট ২০১৯ ইংরেজী কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে একখানা আপীল মামলা দায়ের করেন। যার নং-৯১/২০১৯। ওই তারিখের দায়েরকৃত মামলা নিষ্পতি না করে রহস্যজনকভাবে নালিশী জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন প্রশাসন। সম্প্রতি নালিশী জমিতে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে যা ঘরবাড়ি ছিলো তা সব গুড়িয়ে দিয়েছে!

এতে জমির মালিক পক্ষ নিরুপায় হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একখানা রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং-৯৯০৯/২০১৯। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দায়েরকৃত মামলা নিষ্পতি করার আদেশ দেন। আর নালিশী জমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ প্রচার করেন। পাশাপাশি ৪ আগষ্ট ২০১৯ ইংরেজী তারিখের দায়েরকৃত মামলাটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পতি করা এবং উক্ত মামলা নিষ্পতিকালতক নালিশী জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। বর্তমানে ওই জমির মালিক পক্ষ উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড নালিশী জমিতে টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন।

এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক পক্ষ মোহাম্মদ মোবারক আলী বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং-৯৯০৯/২০১৯ ইংরেজী তারিখের মামলার বিগত ২৪/০৯/২০১৯ ইংরেজী তারিখের আদেশের অনুবলে উচ্ছেদ আপীল ৯১/২০১৯ ইংরেজীর মামলা এবং বিগত ০৪/০৮/২০১৯ ইংরেজীর দায়ের করা আবেদন নিষ্পতি করার এবং উক্ত মামলা ও আবেদন নিষ্পতিকালতক নালিশী জমিতে স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত রাখার আহবান জানিয়েছেন। তিনি অসহায় হয়ে আরও বলেন বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে দেয়া হয়েছে। তারপরও প্রশাসন রহস্যজনক কারনে স্থাপনা নির্মাণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, নালিশী জমির মৌজা কক্সবাজার থানা ও জেলা কক্সবাজার। যার বন্দোবস্তি মোকাদ্দমা নং-৩৯/১৯৫২ নং মূলে বন্তোবস্তি প্রাপ্ত আর.এস ২৬৭৮ নং দাগের তুলনামূলক বি.এস ৩০৭২,৩০৭৩ নং দাগের আন্দর .২৭ একর জমি বিরোধীয়।