প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি, পরিচ্ছন্ন ও শ্রমিকবান্ধব নেতা জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা শ্রমিকলীগ। গতকাল রোববার (২৯ ) সেপ্টেম্বর বিকাল কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল চত্বরে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভায় কোরআন তেলোয়াত করেন অর্থ সম্পাদক খোরশেদ আলম। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক আবুল কালাম।

সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের আহŸায়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগের সাধরণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম কালু, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদার এমইউপি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেয়াজ চৌধুরী, কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি এস.এস এনামুল হক, কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, খুইল্ল্যা মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক রফিক ইসলাম মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদুল হক ও খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক এম. ওসমান গণি, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নূরুল আবছার, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা, পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ রাজিবুল হক রাজু, খুরুশ্কুল ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন মাহমুদ, লিংকরোড সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

সভায় শফিউল্লাহ আনসারী বলেন, জহিরুল ইসলাম সিকদার একদিনে বা বাতাসের সাথে উড়ে আসেনি। তিনি মেহনতি মানুষের ভালোবাসায় দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করে তিলে তিলে গড়ে উঠেন। এমন নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র  ও অপপ্রচার হলে কক্সবাজারের মেহনতি মানুষ তা কোনোদিন মেনে নেবে না। আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। এই ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের যদি পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে শ্রমজীবি মেহনতি মানুষেরাই রাজপথে নেমে প্রতিহত করবে।

কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ খুইল্ল্যা মিয়া বলেন, অতীতে সাধারণ বাস মালিক ও শ্রমিকদের জিম্মি করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে  সালাম, মইন উদ্দীন, তাহের, গিয়াস, সাজ্জাদ ও জসিম গং। উক্ত গং ঢাকা থেকে কক্সবাজার গমণকারী বাসগুলো থেকেও মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায় করে তা আত্মসাৎ করে আসছে। যা সাধারণ মালিকেরা পাওয়ার কথা। সালাম, মইন উদ্দীন, জসিম, সাজ্জাদ গং ৩৩ লাখ সাধারণ মালিকদের সঞ্চয়কৃত টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারা এভাবে ২০০১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সাধারণ মালিকদের জিম্মি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এমতাবস্থায় আমরা সাদা মনের মানুষ হিসেবে আমরাই জহিরুল ইসলামের সাধারণ মালিক ও শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার্থে জোর করে সভাপতির দায়িত্বটা তুলে দিয়েছি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে জ্বলে উঠে তারা জহিরুর ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে। তারা জামায়াত-বিএনপির এজেন্টা বাস্তায়নকারী।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিকলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের রানা, শাহীন আহমদ, নেজাম উদ্দীন, মোঃ ইউনুছ, অর্থ সম্পাদক ইয়াহিয়া খান, ক্রীড়া সম্পাদক সিরাজুল করিম, ছৈয়দ রাসেদুল হক সোহেল, কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি, নূর হোসেন, নাজির হোসেন সওদাগর, কার্যকরী সদস্য আবুল কালাম আজাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এহছান উদ্দীন, রামু উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম কাজল, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মামুন, পেকুয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এস.এম শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলার যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ মামুন ও শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঈদগাঁও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন, শাহীন শাহ চৌধুরী, জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ, জীপ-কার মাইক্রো শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন, ১২ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি হাফেজ নুরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক, প্রমুখ।

রামু ও ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে বিপুল নেতাকর্মী প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। প্রতিবাদ সভাস্থলে এসে সমবেত বিপুল নেতাকর্মীর সাথে দেখা করে নিজের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম।