মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ :
কক্সবাজার জেলা রামুর উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের পানিরছড়া গ্রামের মাইশার (১৫) বিনা চিকিৎসায় এক স্কুল ছাত্রী ১ বছর ধরে শয্যাশায়ী। এখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে শিশু মাইশার। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। অর্থের অভাবে তিন বেলা খাবারও ঠিকমত মেলে না।
টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না রিক্সা চালক বাবা। মাইশার (১৫)  নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এক বছর ঘরে পড়ে আছে।
তার শরীর শুকিয়ে জীর্ণশীর্ণ। ঘরের চৌকিতে শুয়েই নিজের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এ প্রতিবেদককে মাইশার বলেন, নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার এ অবস্থা হয়। আমার বাবা একজন রিক্সা চালক গরীব মানুষ আমার চিকিৎসা করাতে পারছেনা অর্থের অভাবে। বিছানায় পড়ে থাকতে ভালো লাগে না। আমি সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে যেতে চাই। মাইশার কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন আপনারা আমারে সুস্থ করার ব্যবস্থা করে দেন। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করবো যত দিন বেচেঁ থাকবো।
এমন অবস্থায় তাদের একজনের চিকিৎসা করাতে যে টাকা প্রয়োজন সেটা তার রিক্স চালক পিতা তোফাইয়ল আহমদ প্রকাশ টুইল্ল্যা এর পক্ষে যোগার করা সম্ভব না।
তোফাইয়ল আহমদ ( ৪৮)বলেন,ডাক্টাররা বলেছে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে প্রায় দের লক্ষ টাকার প্রয়োজন।ওর এখন যে অবস্থা তাতে তাকে ঢাকায় মেডিকেল ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করালে ভালো হবে। কিন্তু সেই টাকা যোগার করার সামর্থ্য আমার নেই।
অন্যর জায়গায় থাকি। ভাড়ায় রিক্স চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোন মতে খাওয়া-পরাটা চলে। তোফাইলে আহমদ আরো বলেন,মাইশার ১ বছর জটিল রোগে জীবনমৃত্যু সন্ধীক্ষণে। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় মেডিকেল ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলে । কিন্তু টাকার অভাবে করাতে পাড়ি নাই। ৫-৬ মাস পড় থেকে সে আসতে আসতে হাঁটতে পারতো স্কুলেও যেতে পারতো। পরে একটা সময় তার জীবনমৃত্যু সন্ধীক্ষণে রোগ হয়।তারপর থেকে বিছানাতেই সব সময় পড়ে থাকে চলা ফেরা করতে পারে না।
তার উপর আবার ওর এক বছর যাবত অসুস্থ। ঘরেই পড়ে থাকে।তাই আমি ওদের চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চাই।
কিন্তু মাইশা বাঁচতে চায়।এখন উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়তো বিদেশে যেতে হবে মাইশা কে।কিন্তু তার চিকিৎসা করার মতো কোন অর্থ হাতে নেই মাইশার পরিবারের।দুরারোগ্য অজানা রোগে জীবনমৃত্যুর সাথে লড়াকু মেধাবী ছাত্রী মাইশার আর্থিক অনটনের খবর পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলেন কক্সবাজারের স্বনামধন্য বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজার জেলার সভাপতি কক্সবাজার জেলা যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও মানবতার নেত্রী নীলিমা আক্তার চৌধুরী। তিনি মেধাবী ছাত্রী মাইশা কে সুদুর চট্টগ্রাম মেডিকেল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিলেও দীর্ঘদিন রোগ নির্ণয় করতে না পারায় চিকিৎসক তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মাইশা সুন্দর পৃথিবীতে থাকতে চায়।মাইশা কে বাঁচাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন।দরিদ্র মাইশার পরিবার সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।মাইশা কে বাঁচাতে সুহ্নদয়বান সহযোগিতা করতে চাইলে তার পরিবারের ( বিকাশ ০১৮৮১-০২৫০৩৫ ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।বাঁচাতে পারেন মেধাবী ছাত্রী মাইশার জীবন। উল্লেখ্য, পানিরছড়া ৭ নং ওর্য়াড়ে উক্ত ছাত্রীর বসবাস। মা -বাবা খুবই গরীব অসহায়। বর্তমানে মাইশা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন বলে জানান পিতা তোফাইয়েল আহমদ প্রকাশ টুইল্ল্যা ও মাতা আনোয়ারা বেগম।