লোহাগাড়া প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগরে খাদ্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান (বিএসটিআই) কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠেছে থ্রীস্টার মুড়ির মিল। ইতোমধ্যে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে শুরু করা হয়েছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। দেদারছে চলছে মুড়ি বাজারজাতকরণ।
তবে, তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণে রুস্তমেরপাড়া সড়কের পাশে ছোট্ট একটি ঘরে কয়েক বছর আগে থ্রীস্টার মুড়ির মিলটি গড়ে ওঠেছে। অপরিচ্ছন্ন মেঝেতে মুড়ির প্যাকে ব্যস্ত শ্রমিকরা। পুরুষ শ্রমিকদের নেই কারো গায়ে কাপড়। মহিলরাও কাজ করছে মিলে।
মুড়ির প্যাকেটে নেই কোন ব্যাচ নং, উৎপাদানের তারিখ। মিলের ভিতর মুড়ি যেখানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে, তার পাশেই ময়লার স্তুপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে গন্ধ।
এসময় পাশে একটি রুমে বসে অফিস করছে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা?
প্রতিবেদক এর পরিচয় পেয়ে প্রথমে তিনি কোনো উত্তর না দিলেও পরে জানান, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপাততঃ আর কোন কাগজপত্র তাদের নেই।
তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকলেও মানসম্মত খাবার উপযোগী মুড়ি তৈরি করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মিলটির মালিক ও উপজেলার আধুনগর ওজাপাড়ার বাসিন্দা মৃত নূর আহমদেন ছেলে মো: আইয়ুব।
বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুড়ি তৈরি করতে কোন কাগজপত্র লাগে না। যদি কাগজপত্র লাগে আগামীতে যোগাড় করে রাখব।
এই প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো: শের আলী বলেন, থ্রীস্টার মুড়ির মিলের বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানা নাই। অনুসন্ধান পূর্বক ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।