আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে সঠিক তদারকি কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা ধানের সঠিক পরিচর্ষা,সময়মত জমি চাষাবাদের উপযোগী , সার, কিট নাষক প্রয়োগ, পার্চিং পদ্বতির ব্যবহার করায় ববাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক রশিদ আহমদ।
তিনি আরো বলেন উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম কৃষকদের সু পরামর্শ এবং ধানক্ষেত পরিদর্শন করে কৃষকদের রোগ বালাই দমনে করনীয় নিয়ে আলোচনা পুর্বক ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় রোগ বালাই অনেকটা কমে গেছে।
হলুদিয়াশিয়া গ্রামের কৃষক বদিউল আলম, মোঃ,নুরুল আজিম, আবদু শুক্কুর সহ অনকেই জানান তাদের এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ,শহিদুল আলম প্রতিদিন ধানক্ষেত পরিদর্শন, কৃষকদের সাথে আলাপ আলোচনা রোগ বালাই দমনে পরামর্শ সভা করার ফলে আমনের ভাল ফলনের আশা করছেন। এ পর্যন্ত ধান আগের তুলনায় ভাল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করছেন ।
কৃষক আবদুল আলিম জানান এবার নতুন জাতের ধান ব্রি –৭৫ কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তিনি চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন। ফলন ভাল ফলার সম্ভাবনার কথা তিনি জানান।
উপসহকারী কৃষি অফিসার শহিদুল আলম বলেন কম বয়সী নতুন জাতের ধান ব্রি–৭৫ বীজ ফেলানোর ১৮ /১৫ দিনের মাথায় জমিতে চারা লাগাতে হবে এবং সময়মত সার কিটনাষক, সহ ভাল পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে ফলন ও ভাল হবে এবং কৃষক ও লাভবান হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ফলন ভাল হবেনা
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নের ৩ টি ব্লকে সবুজে সবুজে মাঠ ভরপুর। কষকদের মনে ও আনন্দে মাতোয়ারা। কৃষকেরা আগাম সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন আরো কিছুদিন পর ফসল ঘরে আসবে। বাকী দিনগুলু যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে চাহিদা অনুযায়ী ফসল ঘরে তোলা যাবে। কৃষক আবদু শুক্কুর বলেন ধান ভাল হবে তবে ভাল দাম /ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা ভালভাবে লাভবান হতে পারছেনা। এখন সবকিছু র দাম বৃদ্বি হওয়ায় চাষাবাদ থেকে ও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেকে।
৩ নং ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম বলেন কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন, মাঠ পরিদর্শন, পরামর্শ সভা, পার্চিং পদ্বতির ব্যবারের ফলে
আমন ধানের ক্ষতিকর পোকা মাকড় দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ধানের জমিতে ডাল, কঞ্চি, বাঁশ দিয়ে ইংরেজি ‘টি’ আকৃতি বানিয়ে জমিতে স্থাপনের মাধ্যমে পার্চিং করা হয়। ধানক্ষেতে পার্চিং করা হলে প্রাকৃতিকভাবে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে জমির ওপরি ভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে। পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে ক্ষতিকর মাজরা পোকার আক্রমণ হয় না। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়। বিষ প্রয়োগ না করার কারণে পরিবেশ দূষণ হয় না। আর্থিকভাবেও কৃষক লাভবান হয়।