মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সংঘবদ্ধ জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসাথে জাল জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির মূল্যবান ইলেকট্রনিকস সামগ্রী সহ প্রচুর মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এক সফল অভিযান চালিয়ে এই গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার করেন। বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজওয়ান আহমেদ সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি সিবিএন-কে আরো জানান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম’র নির্দেশনায় ডিবি (ডিডেক্টিভ ব্রাঞ্চ) পুলিশ অভিযান চালিয়ে জালিয়াত চক্রের সংঘবদ্ধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের নাম ঠিকানা হচ্ছে-(১) মোহাম্মদ রাশেদ (২১) পিতা মোঃ আব্দুর রহিম, মাতা জহুরা বেগম, তারাবনিয়ারছড়া, উকিলপাড়া এটি ভবন, থানা ও জেলা কক্সবাজার (২) মোহাম্মদ ওসমান (৩৫) পিতাঃ হারুন-অর-রশিদ মাতাঃ আলতাজ বেগম খুটাখালী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, মেদাকচ্ছপিয়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার (৩) শফিকুল ইসলাম (৪৮) পিতাঃ মৃত মোঃ ইলিয়াস, মাতা-খতিজা বেগম, পাহাড়তলী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ইলিয়াস মুন্সির বাড়ি, থানা ও জেলাঃ কক্সবাজার (৪) মোহাম্মদ ফরহাদ (২১) পিতাঃ মোঃ সৈয়দ করিম, মাতা-নুরনাহার বেগম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, রহমানিয়া মাদ্রাসার সামনে, থানা ও জেলা কক্সবাজার এবং
(৫) তাসিন হোসেন (২০) পিতা-শামসুল হুদা, মাতা রেজিয়া বেগম, এস.এম পাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড থানা ও জেলা কক্সবাজার। এডিশনাল এসপি রেজওয়ান আহমেদ সিবিএন-কে বলেন, জন্ম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রের গ্রেপ্তারকৃত উক্ত ৫ সদস্যের ব্যাবহার করা কম্পিউটার, স্ক্যানার ও প্রিন্টার সহ আটক করা হয়। তাদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি মতে, উক্ত ব্যাক্তিরা পরস্পর যোগসাজসে রোহিঙ্গাদের ভুয়া জন্ম সনদ, ভুয়া এনআইডি এবং পাসপোর্ট তৈরীতে সহায়তা করতো। তারা দীদীর্ঘদিন ধরে এই জালিয়াতি কাজ করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জব্দকৃত মালামাল হলো: (১) ডেল কোম্পানির একটি সিপিইউ কোর আই থ্রি (২) একটি ডেল কোম্পানির একটি সিপিও কোর আই ৫
(৩) ডিলাক্স কোম্পানির একটি সিপিইউ
(৪) স্যামসাং কোম্পানির একটি ১৫ ইঞ্চি মনিটর (৫) ক্যানন কোম্পানির একটি স্ক্যানার এবং (৬) একটি প্রিন্টার।
সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ সিবিএন-কে আরো জানান, উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।