মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
টেকনাফে আসল বিজিবি ২ জন ভুয়া বিজিবি সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো-টেকনাফের ছোট হাবিব পাড়া এলাকার আবদুল গণির পুত্র মো. বাহাদুর (১৮) এবং একই এলাকার আলী আহমদের পুত্র মো. সামশুল আলম (২৫)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
রোববার ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান আরো বলেন, গত ৩ আগস্ট মোহাম্মদ ওয়াস করিম (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে বিজিবি গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর তদন্ত করে ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় গত ৪ আগস্ট তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। উক্ত ওয়াস করিম তার বাড়ি গিয়ে জানতে পারে যে, একজন ব্যক্তি বিজিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে তার বোনের স্বামীর নিকট হতে মুক্তিপণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেছে। ওয়াস করিম বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিজিবি’কে অবগত করে। বিজিবি বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে, বিজিবি পরিচয় দিয়ে কোন এক ব্যক্তি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা গ্রহণ করেছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি তখন থেকে ঐ ব্যক্তিকে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে তার নম্বরে ফোন করে একইভাবে অর্থের বিনিময়ে বিজিবি’র নিকট হতে আরো একজনকে মুক্ত করার অনুরোধ করা হয়। পরে টাকা গ্রহণ করতে আসা বাহাদুর কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাহাদুরের স্বীকারোক্তি মতে, বিজিবি পরিচয় দিয়ে কথা বলা অপর ব্যক্তি সামশুল আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান আরো বলেন, বাহাদুর বিজিবি পরিচয় দিয়ে টাকা গ্রহণ করে ২৫ হাজার টাকা জনৈক মো. ইব্রাহিমের কাছে প্রদান করেন। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। আটক ভূয়া বিজিবি সদস্যদ্বয় দীর্ঘদিন ধরে বিজিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ধৃত ২ জনকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে রোববার বিকেলে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষ সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
